কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাধিকাপুর হাওড়া ট্রেনটির দিনের বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রাধিকাপুর থেকে ছেড়ে রাত ১১টা নাগাদ হাওড়া পৌঁছনোর সময়সূচী দিয়েছে রেল। আর হাওড়া থেকে সেটি সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ছেড়ে কালিয়াগঞ্জ পৌঁছবে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ। হাওড়া থেকে রাধিকাপুর পৌঁছনোর সময়সূচী নিয়ে সকলেই খুশি হলেও হাওড়া পৌঁছনোর সময় নিয়েই আপত্তি উঠেছে। কেউ বলছেন এই ট্রেনে হাওড়া যাওয়া ঝুঁকির হয়ে যাবে। ট্রেন ঠিক সময় মেনে চললেও হাওড়া পৌঁছে যাত্রীদের চরম সমস্যায় পড়তে হবে। তাছাড়া যে লাইনে ট্রেন চালানোর কথা বলা হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যস্ত লাইন। দিনের বেলা লাইন ক্লিয়ার পাওয়া একপ্রকার দুরাশা। কার্যত মাঝরাতে হাওড়ায় গিয়ে পড়তে হবে। ওই সময় সেখান থেকে কলকাতা যেতে হলে আরও সমস্যা হবে। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ থেকে অনেক ছেলেমেয়ে কলকাতায় পড়াশোনার জন্য যায়। তাদের অন্তত এই ট্রেনে পাঠানোর ঝুঁকি কখনোই বাবা-মায়েরা নিতে চাইবেন না। তৃণমূলের দাবি, নতুন ট্রেন দেওয়ার নাম করে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল বিজেপি।
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, বিজেপি রায়গঞ্জের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল। এর জবাব মানুষ দেবে। সকালের নামে দুপুরে ট্রেন দেওয়া হল। ওই সময় হাওড়া পৌঁছে মানুষ কী কাজ করবে? জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, যা বুঝতে পারছি তাতে দিনের বেলা ট্রেনে চাপলে ট্রেন হাওড়া পৌঁছতে রাত ১২টা পার হয়ে যাবে। নিরাপত্তার অভাব হয়ে যাবে। পরিবার-পরিজন এই ট্রেনে যাত্রা করলে মানুষকে আতঙ্কে থাকতে হবে। আমাদের দাবি, অন্তত রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে হাওড়া পৌঁছতে পারলে কিছুটা সুবিধা হত। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, এই ট্রেনে মানুষের সমস্যার কোনও সমাধান হবে না। আমরা সকালে কলকাতা যাওয়ার ট্রেন চেয়েছিলাম। সেই দাবি পূরণ হল না। ট্রেনটির সুপারফাস্ট নয়। এর চেয়ে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ধরে রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে সকালে কলকাতা পৌঁছতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য হবে।
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্যই টাইম টেবিল এরকম হয়ে গেল। এখানে আসার টাইমটা খুব ভালো পাওয়া গিয়েছে। সেই টাইমে কলকাতা যেতে পারলে ভালো হতো। এনিয়ে আমরা কথা বলব। জুলাই মাস নাগাদ ট্রেনের টাইম টেবিল বদল হতে পারে।