পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত, অতিরিক্ত পুলিস সুপার সুপার দেবাশিস নন্দী, ডিএসপি ট্রাফিক অরিন্দম পাল চৌধুরী সহ বালুরঘাট শহরের প্রায় ১০টি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রায় ৪০ জন গাড়ির চালক উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, কিছুদিন আগে হুগলিতে একটি পুলকারের দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেই কারণে শক্ত হাতে সমস্যার মোকাবিলা করতে চায় প্রশাসন। এদিন সমস্ত স্কুলের পুলকার চালক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন সময় চেয়ে নিয়েছে। তাদের পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে পুলকারগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করবে পুলিস। নিয়ম লঙ্ঘন করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে ডিএসপি ট্রাফিক অরিন্দম পাল চৌধুরী বলেন, একটি শিশুর জীবনের থেকেও সময় বেশি দামি হতে পারে না। অনেক সময় পুলকারের চালকরা সময়মত পৌঁছনোর জন্য খুব তাড়াহুড়ো করে গাড়ি চালান। এরকম যাতে না হয় সে বিষয়ে পুলকার চালকদের সতর্ক করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মত গাড়ি না চালালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে আঞ্চলিক পরিবহণ কেন্দ্রের আধিকারিক সন্দীপ সাহা বলেন, যেহুতু পুলকারগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াত করে। সেক্ষেত্রে সেই গাড়িগুলি আটক করে কাগজগুলি খতিয়ে দেখা সম্ভব হয় না। তাই তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে জেলার সমস্ত পুলকারগুলি খতিয়ে দেখে তাদের কাগজপত্র দিয়ে দেওয়া হবে।
এবিষয়ে একটি বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল জয়া বালন বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে পুলকারগুলির কাগজপত্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা কিছুদিনের সময় চেয়েছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হুগলির পোলবায় পুলকারের দুর্ঘটনায় এক খুদে পড়ুয়া মারা গিয়েছে। সেই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে বালুরঘাটে না হয়, সেই দিকে নজর রেখে জেলা প্রশাসন সতর্কতা জারি করল। কয়েকদিনের মধ্যে গাড়ির ফিটনেসের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ১০ বছরের পুরনো গাড়ি পড়ুয়াদের নিয়ে যাতায়াতের কাজে আর ব্যবহার না করার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরে প্রায় ১৫টিরও বেশি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১০টি স্কুলের প্রায় ৪০টি নিজস্ব বাস রয়েছে। এছাড়াও একাধিক পুলকার ভ্যান ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চলাচল করে।