কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মহকুমা শাসক বলেন, মালদহ কালেক্টরেট চত্বরে জেলাশাসকের অফিসের পাশাপাশি পুলিস সুপারের কার্যালয় এবং আদালত রয়েছে। প্রতিদিন কালেক্টরেটে কমপক্ষে সাত হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসেন। সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা হয়, এমন কোনও কাজ প্রশাসন মেনে নেবে না। জবরদখল হটানোর ব্যাপারে ইংলিশবাজার পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ধাপে ধাপে জবরদখল সরানো হবে।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে মূলত জেলা আদালত চত্বরে দোকানাপাট বসত। সেখান থেকে ক্রমে জেলা কালেক্টরেট চত্বরে তা ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শতাধিক দোকানদার বেআইনিভাবে কালেক্টরেট চত্বরে ব্যবসা করেন। তার ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হয়। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী দোকানের পাশে ডাস্টবিন রাখেন না। ফলে ক্রেতারা খাবারদাবার খাওয়ার পর প্লাস্টিক সহ অন্যন্য বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে দেন। ফলে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণ অপরিষ্কার হয়। বিষয়টি নিয়ে আগেও জেলা প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি। ভোট রাজনীতির জন্য জনপ্রতিনিধিদের বাধায় তা করা যায়নি বলে প্রশাসনের একাংশের দাবি। যদিও বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনও দায় এড়াতে পারে না বলে রাজনীতিবিদরা মনে করেন। তাঁদের মতে, একদিনে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে জবরদখল হয়নি। ধীরে ধীরে দু-একটা দোকান বসতে বসতে বর্তমানে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শুরুতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছত না।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, রাস্তাঘাটের পাশে বা অন্যান্য সরকারি জায়গায় দোকানপাট বসলে তা তুলে দেওয়া হয়। সেখানে খোদ জেলাশাসকের অফিস চত্বরে দিনের পর দিন এভাবে জবরদখল করে ব্যবসা চলায় আমরা কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছি। আগেই প্রশাসনের এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। তবে এভাবে চলতে পারে না। প্রশাসন দ্রুত জবরদখল উচ্ছেদে নামার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, অন্যান্য জেলাতেও কালেক্টরেট চত্বরে অস্থায়ী দোকান থাকে। জেলা কালেক্টরেটে কাজ নিয়ে আসা লোকজন আমাদের কাছে খাবার কেনেন। ফলে প্রশাসন আমাদের উচ্ছেদ করলে অনেকের অসুবিধাও হবে। উচ্ছেদের আগে প্রশাসনের তরফে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।
এদিকে, এদিন সকালে মহকুমা শাসক কালেক্টরেটে চালু আধার কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। আধারের জন্য দাঁড়ানো জেলাবাসীর লাইন ঠিক করতে মহকুমা শাসককে দেখা যায়। তিনি বলেন, প্রতিদিন ২০০ আধার কার্ডের কাজ হবে। তার বেশি যাতে কেউ অযথা লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করেন তা এদিন সকলকে বলা হয়।