পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাডব্যাঙ্কের ডিরেক্টর মৃদুময় দাস বলেন, আমাদের এখানে কেন্দ্রীয় ব্লাডব্যাঙ্ক রয়েছে। উত্তরবঙ্গের প্রায় সবজায়গা থেকেই রোগীরা এই হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। তাই রক্তের চাহিদা সবসময়েই থাকে। আমরা শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে নিয়মিত গিয়ে শিবির করে রক্ত সংগ্রহ করে আনি। আলিপুরদুয়ার থেকেও মাঝেমধ্যে রক্ত সংগ্রহ করে আনা হয়। কোচবিহারে আমরা যেতে পারি না। প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা তা পাই না। সেকারণেই সঙ্কট দেখা দেয়। যাতে সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায় তার চেষ্টা চলছে।
ব্লাডব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লাডব্যাঙ্কে বছরে প্রায় ২০ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। সেই অনুযায়ী রক্ত সংগ্রহ হয় না। ১৪ থেকে ১৫ হাজার ইউনিট রক্ত মিললেও পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দেওয়া যেতো। কিন্তু ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ৮ থেকে ১০ হাজার ইউনিট রক্ত পায়। সেক্ষেত্রে রক্তের মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জোগান কম থাকে। যেজন্য সারাবছরই রোগীর পরিজনদের দেওয়ার রক্তের উপর ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্ভর করতে হয়।
ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চিকিৎসকরা রোগীর চাহিদার থেকে বেশি ব্লাড লিখে দেন। যাতে রোগীর পরবর্তীতে কোনও অসুবিধা না হয়। কিন্তু সেসব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত রক্ত দেওয়া সম্ভব হয় না। এজন্য ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে রক্ত সংগ্রহ করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে এই জ্বলন্ত সমস্যা সমাধান করা যায়।
মেডিক্যালের আঞ্চলিক ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাসে প্রায় ২০০০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। সেই জায়গায় মাত্র ১০০০ ইউনিট রক্ত বিভিন্ন শিবির থেকে সংগ্রহ হয়। মেডিক্যাল কলেজে দিনে প্রায় ৮০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত রক্তের অভাবে মাত্র ৬০ ইউনিট রক্তের জোগান দিতে পারছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ব্লাডব্যাঙ্ক।
বুধবার পর্যন্ত পরীক্ষা করা প্রায় ১০০ ইউনিট এবং পরীক্ষা না করা প্রায় ১৫০ ইউনিট রক্ত মজুত ছিল মেডিক্যাল কলেজের ব্লাডব্যাঙ্কে।