বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, গণ্ডারটি এখনও ভুটানে যায়নি। জাতীয় উদ্যানের মূল ভুখণ্ড থেকে বেরিয়ে পূর্ণবয়স্ক গণ্ডারটি ভুটান সীমান্ত লাগোয়া তিতির জঙ্গলের ৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করছে। গণ্ডারটিকে দ্রুত জাতীয় উদ্যানের একেবারে মূল ভুখণ্ডে ফেরাতে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ চলছে।
বনদপ্তরের বয়ান অনুসারে, মাদারিহাটে ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক পার হয়ে জাতীয় উদ্যানের মূল ভুখণ্ড থেকে গণ্ডারটি তিতির জঙ্গল থেকে ১৭ কিমি দূরত্বে অবস্থান করছে। যেখান থেকে ভুটানের ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব। অর্থাৎ আর কয়েক কদম এগোলেই ভুটানে ঢুকে দেশান্তরী হয়ে যাবে গণ্ডারটি।
বনদপ্তরের একাংশ জানিয়েছে, ভুটান সীমান্তের ওই এলাকাটি নিরাপদ নয়। সেক্ষেত্রে গণ্ডারটি চোরাশিকারীদের খপ্পড়ে পড়তে পারে। তাই যে কোনও মূল্যে ভুটান সীমান্তের তিতির জঙ্গল থেকে গণ্ডারটিকে জাতীয় উদ্যানের মূল ভুখণ্ডে ফেরাতে বনদপ্তর একেবারে আদা জল খেয়ে নেমেছে।
কীভাবে গণ্ডারটি জাতীয় উদ্যানের মূল ভুখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হল? বনদপ্তরের ধারণা, গত এক সপ্তাহে জাতীয় উদ্যানে পরপর পাঁচটি গণ্ডারের মৃত্যু হয়। সেই ডামাডোলের সুযোগে গণ্ডারটি মূল ভুখণ্ড থেকে বেরিয়ে বিবাগী হয়ে বিদেশের মাটির দিকে পা বাড়িয়েছে। বনদপ্তর এই খবর পায় তিতির জঙ্গল লাগোয়া হল্লাপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত। এরপরেই ছ’টি কুনকি হাতি নিয়ে বন কর্মীরা তিতির জঙ্গল থেকে গণ্ডারটিকে ফেরাতে অভিযানে নেমেছে। মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই বন কর্মীদের এই গণ্ডার ফেরানোর অভিযান চলছে। গণ্ডারটির পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে এই অভিযান চলছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া পুরো তিতির জঙ্গলটিকে কুনকি হাতি দিয়ে কর্ডন করে রাখা হয়েছে। তবে বনদপ্তর সূত্রে খবর, ভুটান সীমান্ত লাগোয়া তিতির জঙ্গলে গণ্ডারটি দাঁড়িয়ে থাকলেও সেখান থেকে জাতীয় উদ্যানের মুল ভুখণ্ডে ফিরতে সেটি কোনও গরজই দেখাচ্ছে না। বনদপ্তর জানিয়েছে, এই অবস্থায় ধৈর্য্য ধরা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।