কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে মালদহে নেমে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করবেন সোমেন মিত্র। তাঁর সঙ্গে থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ। পরে জেলার বিভিন্ন স্তরের কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবে কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, আমাদের এই কর্মী সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য, জেলাজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে সক্রিয় জনমত গড়ে তোলা। সোমেনবাবু প্রতিটি জেলাতেই ছুটছেন। কংগ্রেসের সমর্থনে মানুষ ফের একজোট হচ্ছে। মালদহেও তাই হতে চলেছে।
একইসঙ্গে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বলেন, গোটা রাজ্যের সঙ্গে মালদহের দু’টি পুরসভাতেও যে আমরা বামেদের সঙ্গে জোট বেধে লড়াই করব তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বামেদের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েক দফা বৈঠক ইতিমধ্যেই হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে বেশ কিছু সূত্র উঠে এসেছে। প্রদেশ নেতৃত্ব তা নিয়ে অবহিত। আমরা আরপরেও এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে সামনাসামনি বামেদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসা রফাসূত্র সম্পর্কে জানাব। তাঁর পরামর্শ নেব।
প্রদেশ সভাপতির পরামর্শ অনুযায়ী পরের দিন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরির (ডালু) সঙ্গে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব একটি বৈঠক করবেন। তারপরে সোমেনবাবু ও ডালুবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্বের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে চূড়ান্ত কথা হবে বলে জানান মোস্তাক আলম।
অন্যদিকে, বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক অম্বর মিত্র বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে ইতিবাচক পরিবেশে জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিছু ফর্মুলা বেরিয়ে এসেছে। পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনে আসন রফার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় জেলা বামফ্রন্ট। বড় কোনও সমস্যা না হলে রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করে না। মালদহের ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা নেই। উভয়পক্ষ একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেবে। তাতে বড় জোর এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মালদহ সফর ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদহে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে। শনিবার সকালে মালদহের ফোয়ারা মোড়ে তৃণমূলের দুই একটি পতাকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। তৃণমূল সমর্থক রাজীব দত্ত, বাপ্পা দাস অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সমর্থকরা তাঁদের দলের পতাকা খুলে ফেলে নিজেদের পতাকা লাগিয়েছেন। পরে তাঁরা আবার কংগ্রেসের পতাকা খুলে ফেলে ওই জায়গায় নিজেদের পতাকা লাগান। এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি তথা বিধায়ক অর্জুন হালদার বলেন, কংগ্রেস তৃণমূলের পতাকা খোলেনি। বরং তৃণমূলের কর্মীরাই কংগ্রেসের পতাকা খুলে ফেলেছেন।