বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, অ্যাসিন্ট্যান্ট ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (মালদহ ডিভিশন) সঞ্জয় ভকত, সারা ভারত ব্লাইন্ড চেস ফেডারেশনের পূর্ব ভারতের সম্পাদক অমরকুমার শর্মা, মালদহ চেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য দীপদ্যুতি সরকার প্রমুখ।
এদিন এক দৃষ্টিহীন প্রতিযোগীর সঙ্গে দাবার চাল দিয়ে জেলাশাসক বলেন, দৃষ্টিহীনদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। এই উদ্যোগে শামিল হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না যে এরা এক একজন পাকা দাবাড়ুর মতো খেলছেন। নীহারবাবু বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি। দৃষ্টিমান ও দৃষ্টিহীনদের মধ্যে এই দাবা প্রতিযোগিতা প্রমাণ করে যে দৃষ্টিহীনরা পিছিয়ে নেই। মালদহ ক্লাবের সম্পাদক কিশোর ভকত বলেন, আমরা আমাদের ইন্ডোর কোর্ট নিখরচায় এই দাবা প্রতিযোগিতার জন্য ছেড়ে দিয়েছি।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন দৃষ্টিহীন বনাম দৃষ্টিহীন প্রতিযোগিতায় মোট ১৪টি বোর্ডে খেলা হয়েছে। রবিবার হবে দৃষ্টিহীনদের সঙ্গে দৃষ্টিমানদের প্রতিযোগিতা। এখানে দেড়শোরও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন। এদিন খেলেন প্রায় ৭০ জন দৃষ্টিহীন প্রতিযোগী।
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে খেলতে এসেছেন ঝুমা মণ্ডল। তিনি জানান যে তিনি দৃষ্টিহীন এবং ২০০৭ সাল থেকে খেলছেন। ২০০৯ সালে ওড়িশায় দৃষ্টিহীনদের দাবা প্রতিযোগিতার মহিলা গ্রুপে তিনি পুরস্কার পেয়েছিলেন।
নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমি স্কুল থেকে খেলতে এসেছে অনীককুমার দাস। সে জানায় যে সে ইতিমধ্যে সারা বাংলা দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে ও জোনাল প্রতিযোগিতায় খেলেছে। দাবা খেলার মধ্য দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায় এবং একাগ্রতা বাড়ে।
হুগলির উত্তরপাড়া থেকে এসেছে দুই ভাই যুধাজিৎ দে এবং দীপ্তজিৎ দে। তাদের মধ্যে যুধাজিৎ দৃষ্টিহীন। তিনি বলেন, আমি ২০০৮ সাল থেকে দাবা খেলছি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমি দৃষ্টিহীন খেলোয়াড় হিসাবে রাজ্যের সর্বোচ্চ রেটেড প্লেয়ার হয়েছি। আমার এখন সংগ্রহ ১৬৮৩ পয়েন্ট। যুধাজিতের ভাই দীপ্তজিৎ বলেন, আমি ২০১২ সাল থেকে খেলছি। আমি আংশিক দৃষ্টিহীন। এখন রাজ্যে দ্বিতীয় রেটেড প্লেয়ার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমার সংগ্রহে রয়েছে ১৫৭৯ পয়েন্ট।