কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শনিবার কলকাতা থেকে ফোনে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটি গণ্ডারের রক্তের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে আসেনি। রাজ্যের ওই জাতীয় উদ্যানে অ্যানথ্রাক্সের সংক্রমণেই গণ্ডারদের মৃত্যু হচ্ছে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আমরা রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে ওই জাতীয় উদ্যানে একজন স্থায়ী বন্যপ্রাণী চিকিৎসক রাখা হচ্ছে।
রাজ্য বন দপ্তরের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, পরীক্ষাগারের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও আমাদের হাতে আসেনি। তবে পরীক্ষাগার থেকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে অ্যানথ্রাক্সের সংক্রমণকে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই মতো জাতীয় উদ্যানে গণ্ডারদের অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধকারী টিকাকরণ সহ সব ধরনের জরুরি ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।
২০১৯ সালের গণ্ডার শুমারি অনুসারে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ২৫০টি গণ্ডার, ২০০০ বাইসন এবং বিভিন্ন প্রজাতির ৩০০০ হরিণ আছে। গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই জাতীয় উদ্যানে পরপর পাঁচটি স্ত্রী গণ্ডার অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পাঁচটি গণ্ডারই জাতীয় উদ্যানের পূর্ব রেঞ্জের শিসামারা ও মালঙ্গি বিটের জঙ্গলে মারা যায়। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বনদপ্তর। অ্যানথ্রাক্সের সংক্রমণেই গণ্ডারদের মৃত্যু হচ্ছে কিনা তা জানতে তড়িঘড়ি মৃত কয়েকটি গণ্ডারের রক্তের নমুনা কলকাতায় পাঠানো হয়। পরীক্ষাগারের চূড়ান্ত সেই রিপোর্ট এখনও বনদপ্তরের হাতে আসেনি। কিন্তু পরীক্ষাগার থেকে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের সন্দেহের কথা বনদপ্তরের কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বনদপ্তর। ২১৬.৫১ বর্গ কিমি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ১৬৮ বর্গ কিমি বায়ো সিকিউরিটি জোন এলাকায় অন্য কোনও প্রাণীকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই ১৬৮ বর্গ কিমি এলাকা গণ্ডারদের মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।
এদিকে, অ্যানথ্রাক্স ছড়ানো রুখতে শুক্রবার থেকে বেহুঁশ করে জাতীয় উদ্যানের গণ্ডারদের প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে জাতীয় উদ্যানে থাকা ৭৮টি কুনকি হাতিকেও টিকা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় উদ্যান লাগোয়া বনবস্তি ও লোকালয়গুলির গবাদি পশুদের টিকাকরণের জন্য বনদপ্তর প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরেরও দ্বারস্থ হচ্ছে।
গণ্ডার, কুনকি হাতি, জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তি ও লোকালয়ে থাকা গবাদিপশুর সঙ্গে জাতীয় উদ্যানে সার্বিকভাবে অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীদেরও প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর। এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতি বিশদে খতিয়ে দেখতে জাতীয় উদ্যানে শনিবার রাতের মধ্যেই কলকাতা থেকে একটি চিকিৎসক দলের আসার কথা।
রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে জাতীয় উদ্যানে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাতি সাফারি আমরা বন্ধ রাখছি। কার সাফারি চললেও তার পরিধি কমানো হবে। জাতীয় উদ্যানের পূর্ব রেঞ্জের দিকে কার সাফারি বন্ধ থাকছে।