বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দেশের মধ্যে অল্পবয়সী ও নাবালিকা গর্ভবতীর সংখ্যায় ত্রিপুরা প্রথম স্থানে। সেই নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে, পশ্চিমঙ্গের যে তিনটি জেলায় অল্পবয়সী ও নাবালিকা গর্ভবতীর হার সবথেকে বেশি, তাদের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা অন্যতম। স্বাভাবিকভাবে এই পরিসংখ্যান জেলাস্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, অল্পবয়সী এবং নাবালিকা গর্ভবতীর সংখ্যা কমাতে উত্তরণ নামে একটি প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী এবং আশা কর্মীদের কাজে লাগানো হবে। প্রতি এক হাজার পিছু মহিলাদের জন্য একজন করে আশা কর্মী পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। তাঁরা শাশুড়ি ও বউমাদের নিয়ে নানারকম সচেতনতামূলক সভা ও পরামর্শ দান করবেন। মার্চ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
এবিষয়ে এই জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, অল্পবয়সী গর্ভবতীর সংখ্যার নিরিখে রাজ্যে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে তিনটি জেলা, সেগুলির মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ দিনাজপুর। এই সমস্যা মেটাতে উত্তরণ নামে সচেতনতামূলক প্রকল্প চালু হচ্ছে। ১৮ বছরের আগে যাতে বিয়ে না দেওয়া হয় এবং অল্প বয়সে গর্ভবতী হলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেব্যাপারে তাঁদের বোঝানো হবে। আশা করছি, আমাদের জেলার অন্যান্য প্রকল্পের মতো এই প্রকল্প সফল হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নাবালিকারা ১৬-১৭ বছর বয়সে বা তারও আগে বিয়ে করে অল্প বয়সে মা হয়ে পড়ছে। আবার কেউ ১৮-১৯ বছর বয়সে বিয়ে করে ২০ বছর বয়সে মা হয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে মা ও শিশু মৃত্যুর হার বাড়ছে। এছাড়াও অল্পবয়সী মায়েদের সন্তানরা জন্মগতভাবে মূক, প্রতিবন্ধী এবং মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই উত্তরণ প্রকল্পের মাধ্যমে নব বিবাহিতা বউমা ও শাশুড়িদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হবে। সেখানে তাঁদের অল্পবয়সী গর্ভবতীর সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে অবগত করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর বিভিন্ন ব্লক থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাডিশনাল কমিশনার (ইমুনাইজেশন) চিকিৎসক এস কে শিকদার আসেন। তিনি প্রসূতি বিভাগ পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যদপ্তরকে প্রসূতি বিভাগের পরিষেবা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী দিনে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাফতালের প্রসূতি বিভাগের মান আরও উন্নত হবে এবং সন্তানসম্ভবাদের আর সন্তান প্রসবের জন্য বাইরে ছুটতে হবে না। উল্লেখ্য, সেই পরিদর্শন চলাকালীন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে, বালুরঘাট হাসপাতালে সুপার তপনকুমার বিশ্বাস সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন।