পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রত্যেকটি অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ জলে আয়রনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। ইটাহার ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ফ্লোরাইড প্রবণ। ফলে ওইসব এলাকার জল আয়রনমুক্ত করে পান করলেও তা নিরাপদ নয়। রায়গঞ্জ শহরে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। শহরের গরিব-মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারই অগভীর টিউবলের জল দিয়ে পানীয় জলের প্রয়োজন মেটায়। তবে এতে পেটের রোগ লেগে থাকায় অনেকেই কেনা জল নিতে বাধ্য হচ্ছেন। পুরসভার বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প এখনও অধরা। তবে রায়গঞ্জ পুরসভার উদ্যোগে প্যাকেজড পানীয় জল বাজারে বিক্রি হলেও তা গরিব মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ফলে শহরের অনেক বাসিন্দাই অপেক্ষাকৃত কম দামে নানা কোম্পানির পানীয় জল কিনছেন। কিন্তু সেই জল কবে বোতলজাত করা হয়েছে, তার দিন তারিখ কোনও কিছুই লেখা থাকছে না। কোথায় কোন কারখানায় ওই জল পরিশোধন করে তা পানযোগ্য করা হচ্ছে, তাও অজানা অনেকের। অপেক্ষাকৃত সস্তা এই সব প্যাকেজড পানীয় জল বাজারে পাওয়া যাওয়ায় অনেকেই সেই জলের গুণমান নিয়ে আর প্রশ্ন তোলেন না। যদিও সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, রায়গঞ্জ শহরের অনেক বাড়িতেই টিউবওয়েলের জল তুলে তা আয়রনমুক্ত করে জারবন্দি করে বাজারে ছাড়া হয়। ফুড সেফটি দপ্তরের অনুমোদনের ধার ধারে না ওইসব কারবারীরা। রায়গঞ্জ শহর ছাড়াও কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর সহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামীণ এলাকায় আয়রনমুক্ত জল বিক্রির চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এইসব সস্তা জলের দাপটে, যারা বৈধভাবে প্যাকেজড পানীয় জলের ব্যবসা করেন, তাঁদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, বেআইনি ওই কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাঁদের কারবার মার খাচ্ছে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোথায় কোথায় প্যাকেজড পানীয় জলের কারবার রায়গঞ্জে চলছে, তার হিসেবও স্বাস্থ্যদপ্তরের ফুড সেফটি বিভাগের আধিকারিকদের জানা নেই।
দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফুড সেফটি আইন মেনে যারা জলের ব্যবসা করবে না, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। শীঘ্রই এবিষয়ে জেলাজুড়ে নজরদারি বাড়ানো হবে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন।