কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মূলত দু’টি কারণে বালুরঘাটে বিজেপির মধ্যে কোন্দল জমে উঠেছে। একদিকে বিজেপির নেতা-কর্মীদের অনেকের একই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে চাওয়া নিয়ে দলের অন্দরে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, সদ্য বিজেপির জেলা কমিটিতে কোনও পদ না পাওয়ায় বিজেপির নেতাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বদের দাবি, তৃণমূলে যোগদান করতে চেয়ে শহরের অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এই অবস্থায় বিজেপির মধ্যে তৈরি হওয়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল পুরভোটের আগে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে। গেরুয়া শিবিরে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব না মেটাতে পারলে পুরভোটে বড়সড় ধাক্কা বিজেপিকে সামাল দিতে হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শাসক দল যার ফায়দা নিয়ে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে বড় সাফল্য পেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, অনেকে প্রার্থী হতে চাইছেন, সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে পুরভোটের টিকিট দেওয়া ও প্রার্থী নিয়ে আমাদের এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সকলে মাথা পেতে নেবে। আমাদের দলের কেউ তৃণমূলে যোগদান করছেন বা যোগাযোগ করছেন কি না, তা আমার জানা নেই।
এদিকে, তৃণমূলের বালুরঘাট টাউন সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, বিজেপির মধ্যে যা কোন্দল শুরু হয়েছে, তা সামাল দিতে তাদের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। আমার সঙ্গে অনেকে বিজেপি নেতা যোগাযোগ করছেন। তাঁরা আমাদের দলে যোগদান করতে চাইছেন। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূলে যোগদান করবেন অনেকে।
এপ্রিল মাস নাগাদ পুরভোট হবে ধরে নিয়ে বালুরঘাট শহরে সব রাজনৈতিক দল নিজেদের কৌশল শুরু করে দিয়েছে। এবছর শহরে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। গত বছর বাম ও তৃণমূলের মধ্যে মূল লড়াই হলেও এবছর তৃণমূল-বাম-বিজেপির মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে সকলে মনে করছে। লোকসভা ভোটে বালুরঘাট শহরে বিজেপি ভালো সাফল্য পেয়েছিল। তাই বিজেপির বাজার চাঙ্গা ধরে নিয়ে অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন। তা নিয়েই গেরুয়া শিবিরে চরম দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। সেই দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে শাসক দল গেরুয়া শিবিরের ভোট ব্যাঙ্ক টানতে কৌশল তৈরি করছে। সূত্রের খবর, বালুরঘাট শহরের বেশ কিছু বিজেপির নেতা-কর্মী শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন তৃণমূলে যোগদান করতে চেয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই সেই যোগদান পর্ব হতে পারে বলে শাসক দল সূত্রে খবর। বিজেপির নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, দলে মধ্যে একনায়কতন্ত্র তৈরি হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের অনেকের সঙ্গে আলোচনা করা হয় না। এই বিষয়গুলি নিয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন। সেই সব নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন বলে শহরজুড়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আবার সেইসঙ্গে বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়েও অনেকে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তা নিয়ে দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় শাসক দল সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।