কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য সিপিএমের শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমরা পতঙ্গবাহিত রোগ মোকাবিলায় এবার এখন থেকেই গোটা বছরের পরিকল্পনা করে নামছি। বাড়ি বাড়ি সচেতনতামূলক লিফলেট দেওয়া ছাড়াও ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপিংস তৈরি করেছি। সেটা নিয়ে প্রচার করব। প্রতিটি ওয়ার্ড সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তরে বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছি। কিছু অনুমোদন হয়েছে। বাকিগুলি স্বাস্থ্য আধিকারিকরা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর শিলিগুড়ি পুর এলাকায় ১৩০০’র বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এরমধ্যে সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য হলেও বেসরকারি হিসেবে তা ছিল ছ’জন। প্রতিবছরই এডিস মশার কামড়ে শহর এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বাসিন্দারা। মশা নিধনে পুরসভা ‘হাতগুটিয়ে’ থাকে, কাউন্সিলারদের একথা শুনতে হয়। বিশেষ করে বোর্ডের ক্ষমতায় থাকা দলকে এনিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও সহ্য করতে হয়। তাই এবার বামফ্রন্ট পরিচালিত পুরবোর্ড ‘পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিষেধক ব্যবস্থা সমূহের উন্নতি সাধন সম্পর্কিত বার্ষিক পরিকল্পনা-২০২০’ পুস্তক ছাপিয়ে কাজে নেমেছে। সামনেই পুরভোট, তবুও সারা বছরের পরিকল্পনা তারা ছাপিয়ে ফেলেছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে পুরসভা যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য, পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে ডেডিকেটেড সেল তৈরি করে একজন আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া, যিনি জঞ্জাল বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দায়িত্ব পালন করবেন। বরো ভিত্তিক অনুরূপ আলাদা সেল তৈরি করতে হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাদের ১০টি পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এখন একটি বাদে বাকি ন’টিতে একজন করে চিকিৎসক থাকলেও যাতে আরও একজন করে চিকিৎসক নিয়োগ করা যায়, তারজন্য স্বাস্থ্যভবনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পুরসভায় দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীপদে হেল্থ অফিসার ও কনজারভেন্সি অফিসার নেই। তাই একপ্রকার নিধিরাম সর্দারের মতোই স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিভাগ চলছে। ওই দুই পদে স্থায়ী আধিকারিক নিয়োগের আর্জিও পুরসভা রাজ্যে জানিয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের ৪৭টি ওয়ার্ডেই দু’টি করে স্প্রে মেশিন, একটি করে ফগিং মেশিন আছে। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতি ৫০০০ বাসিন্দা পিছু দু’জন করে স্প্রে কর্মী, তিনজন সাফাই কর্মী এবং একজন সুপারভাইজার নিয়ে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম গঠনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ওয়ার্ড ভিত্তিক কর্মী সাজিয়ে টিম করা হলেও দেখা যাচ্ছে, যে ওয়ার্ডে বাসিন্দা ১০ হাজার সেখানেও একটি টিম, যেখানে ৫০০০ সেখানেও একটি টিম কাজ করছে।