গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, পুর এলাকার কাজের মধ্য দিয়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। পুর নির্বাচনে দল খুবই ভালো ফল করবে। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব প্রার্থী ঠিক করবে। দলের নির্দেশ সকলকেই মানতে হবে। এদিকে প্রাক্তন টাউন সভাপতি গঙ্গেশ দে সরকার বলেন, করিম সাহেব আমাদের নিয়ে মিটিং করেছেন। পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মিটিং হয়েছে। এক ছাতার তলায় এসে আমরা নির্বাচনে লড়াই করব। করিম সাহেবের ছেলে মেহতাব চৌধুরী বলেন, এখনও অবধি আমাদের সঙ্গে কানাইয়াবাবু পুরভোট নিয়ে কোনওরকম আলোচনা করেননি। তবে সামনেই ভোট। তাই এ ব্যাপারে সবাই মিলে আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।
গত পুরসভা নির্বাচনে ইসলামপুর শহরের ১৭টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ১০টি আসন। তিনটি করে আসন পেয়েছিল বিজেপি ও তৃণমূল। সেইসঙ্গে একটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী। সেসময় কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেসে ছিলেন। পরে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে দু’জন বিজেপি কাউন্সিলার শম্পা তালুকদার ছেত্রী ও রঞ্জন মিশ্র এবং কংগ্রেসের কাউন্সিলার মুজাফ্ফর হুসেন তৃণমূলে যোগদান করেন। পরে কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেসের সমস্ত কাউন্সিলারকে নিয়ে কলকাতায় গিয়ে দলবদল করেন। করিম সাহেবের তীব্র বিরোধিতার পরেও রাজ্য নেতৃত্ব কানাইয়াকে দলে নেয়। এর ফলে কংগ্রেসের দখলে থাকা ইসলামপুর পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসে। সেইসঙ্গে স্থানীয় সংগঠনে করিম অনুগামী ও কানাইয়া অনুগামী, এই দুই গোষ্ঠী তৈরি হয়ে যায়। এর পরে মুজাফ্ফর হুসেন আবার কংগ্রেসে ফিরে যান। করিম সাহেবের নেতৃত্বে বিজেপির দুই কাউন্সিলার এখন কানাইয়া গোষ্ঠীতে রয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, কানাইয়া যেহেতু দলের জেলা সভাপতি, তাই প্রর্থী বাছাই করার ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। তিনি নিজের পছন্দের লোককেই দলের হয়ে টিকিট পাইয়ে দিতে চেষ্টা করবেন। করিমপন্থীরা যদি দলের টিকিট না পান, সেক্ষেত্রে করিম অনুগামীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ তৈরি হবে। করিম-কানাইয়া বিবাদ আবারও প্রকাশ্যে আসবে। এতে গোঁজ প্রার্থী দাঁড় হওয়ার সম্ভাবনাও রাজনৈতিক মহলের একাংশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।
সম্প্রতি কানাইয়াবাবু দলের টাউন সভাপতি পদে নিয়োগ করেছেন মানিক দত্তকে। আগে টাউন সভাপতি ছিলেন গঙ্গেশ দেসরকার। গঙ্গেশ দেসরকারের সঙ্গে করিম সাহেবের ঘনিষ্ঠতার কারণেই তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে গঙ্গেশবাবু বলেন, আমি আগের মতো দলের কাজ করছি। দলের মধ্যে টাউন সভাপতি নিয়েও করিম ও কানাইয়ার টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ঘাড়ের উপর এসে পড়েছে পুরভোট।