কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মানসিক রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য বাম আমলে গোটা উত্তরবঙ্গের মধ্যে একমাত্র এই তুফানগঞ্জেই মানসিক হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল। পরে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নয়নের জন্য পাশেই আরেকটি তিনতলা বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে। বিল্ডিংটির কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় বর্তমানে হাসপাতালের পুরনো বহির্বিভাগের ঘর থেকেই রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সোম থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগটি খোলা থাকে। বহির্বিভাগের ভিতরে রোগীদের জন্য ওষুধ রাখা আছে। এই ঘর থেকেই কর্মীরা রোগীদের ওষুধ দেন। কিন্তু ঘরের ভিতরে যখন তখন বিষধর সাপ ঢুকে যাওয়ায় কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালটি তুফানগঞ্জ পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অম্লান বর্মা বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে আবেদন করলেই আমরা ওই জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে দেব। তুফানগঞ্জ মানসিক হাসপাতালের সুপার মৃণালকান্তি অধিকারী বলেন, জঙ্গল-আগাছা কাটার জন্য পুরসভার কাছে আবেদন রাখব। বহির্বিভাগের ঘরের বেহাল অবস্থার বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নতুন ভবন তৈরি হয়ে গেলে আর সমস্যা থাকবে না।
এই তুফানগঞ্জ মানসিক হাসপাতালে গোটা উত্তরবঙ্গের মানসিক রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। পরিবারের লোকেরা রোগী নিয়ে এই হাসপাতালেই চিকিৎসা করানোর জন্য আসেন। তাছাড়া নিম্ন অসমের ধুবুরি এবং কোকরাঝার জেলা থেকেও অনেক মানসিক রোগী চিকিৎসার জন্য এই তুফানগঞ্জে আসেন। হাসপাতালে প্রতিদিন প্রচুর রোগীর ভিড় জমে যায়। রোগীদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, এভাবে জঙ্গল বেড়ে চলার জন্য সাপের উপদ্রব্যের মধ্যেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ চলছে। ওই জঙ্গল কেটে সাফ করে দেওয়া দরকার।