পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ছ’মাস আগে রাজ্যপালের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর শিলিগুড়িতে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জগদীপ ধনকার। সেসময়ে রাজ্য পুলিস ও প্রশাসনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এর বাইরে কখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিক্ষোভ দেখানোকে কেন্দ্র করে,আবার কখনও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে তাঁর সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। যা নিয়ে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে কার্যত সংঘাতের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়। এদিন অবশ্য তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এদিন শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যপাল বলেন, ছ’মাস ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে খাট্টা-মিঠা সম্পর্ক চলছিল। এখন সম্পর্ক খুব ভালো। আমি ভারতীয় সংবিধানে বিশ্বাস করি। সমন্বয় এবং সহযোগিতা বজায় রাখব। এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আনন্দের সঙ্গে বলছি, এটা হচ্ছে ‘মাইলস্টোন চেঞ্জ’। একটা টার্নিং পয়েন্ট। চার সপ্তাহ ধরে চেষ্টা চালিয়ে এটা সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো। এখানকার পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে কিছু সাফল্য এসেছে। এটা কারও একার পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। সকলের সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। সরকারের সঙ্গে মিলে রাজ্যের উন্নয়ন করাই লক্ষ্য।
এর আগে শিলিগুড়িতে এসে তিনি রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর ওই সফরে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তাদের দেখা যায়নি। তাঁর কোনও অনুষ্ঠানে রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকেও দেখা যায়নি। এদিন সকালে রাজ্যপাল ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে আইনজীবীদের একটি কর্মশালায় যান। সেখানে বিনা আমন্ত্রণেই পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি।
মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, আমন্ত্রণ না পেলেও রাজ্যপাল সহ অতিথিরা আসায় এই অনুষ্ঠানে এসেছি। লাটাগুড়িতে সাংবাদিকদের কাছে রাজ্যপাল বলেন, রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘর্ষের সম্পর্ক থাকতে পারে না। প্রথম থেকেই আমি সেকথা বলে এসেছি। আমরা দু’পক্ষই নমনীয় হয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘ সময় আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বর্তমানে আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। রাজ্য সরকার রাজভবনের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। দুপুরে শিলিগুড়িতে দার্জিলিং জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) নিবিল ঈশ্বরারি, শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় সহ পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের দেখা গিয়েছে।
আসন্ন পুর নির্বাচন ও বিধানসভা ভোটে হিংসার ঘটনা এড়ানোর কথাও বলেছেন রাজ্যপাল। শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি দু’জায়গাতেই তিনি বলেন, আমি নিরপেক্ষ অবস্থান নেব। এখন থেকেই পুলিসকে অস্ত্র উদ্ধারে উদ্যোগী হতে হবে।