কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কোতোয়ালি থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম হিমাংশু সরকার(৪৪)। তিনি থানেশ্বরেরই বাসিন্দা ছিলেন। থানেশ্বর বাজারে এক ব্যবসায়ীর মেয়ের জন্মদিনের নিমন্ত্রণ খেয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। হিমাংশুবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়। এদিন সকালে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শতাধিক লোক অভিযুক্ত দু’জনের বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। একসময়ে বিক্ষোভকারীরা থানেশ্বর-বড়রাংরস-শিবপুর রোড অবরোধ করে। তারা রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়। পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পালিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরিস্থতি শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিসি টহল চলছে।
মৃত হিমাংশু সরকারের পিসতুতো দাদা কৃষ্ণ সরকার বলেন, ভাই বুধবার রাতে পরিচিত একজনের মেয়ের জন্মদিনের নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিল। সেখানে অভিযুক্ত ওই দু’জন নিমন্ত্রত ছিল। খাওয়াদাওয়া শেষ করে ভাই ওই বাড়ি থেকে বের হতেই অভিযুক্তরা ওর উপরে চড়াও হয়। ভাইকে রাস্তায় ফেলে প্রচণ্ড মারধর করে। তাতে ভাই গুরুতর আহত হয়। পরে আমরা ওকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ওর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে পরবর্তীতে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাই। সেখানেই চিকিৎসা চলাকানীন বৃহস্পতিবার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন এলাকাবাসী অভিযুক্ত দু’জনের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মৃতের ভাই সুবল সরকার বলেন, ওই বাড়িতে আমারও নিমন্ত্রণ ছিল। আমি সন্ধ্যায় দেখা করে চলে আসি। রাত ১১ নাগাদ ফোনে খবর পাই ওই বাড়ির সামনে দাদা জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। কেন ওকে ওরা মারল বুঝতে পারছি না। দাদার অস্বাভাবিক মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।
কোচবিহারের ডিএসপি (সদর) সমীর পাল বলেন, ওই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযুক্তরা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পিটিয়ে জখম করা এবং পরবর্তীতে মৃত্যু, এই সংক্রান্ত অভিযোগ এসেছে।
কোচবিহারের থানেশ্বরের বাসিন্দা হিমাংশুবাবুর বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। বুধবার রাতে হিমাংশুবাবু স্থানীয় ব্যবসায়ী বন্ধুর বাড়িতে জন্মদিনের নিমন্ত্রণ খেতে যান। অভিযোগ, নিমন্ত্রণ খেয়ে বের হওয়ার পরেই দুই ব্যক্তি তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে।