বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হল আশরাফ আলি, বরুণ সরকার, মনোজ শাহ, মিঠুন দাস ও সঞ্জয় বিশ্বাস। মৃতদের প্রত্যেকের বয়স ৩০-৩৪ বছরের মধ্যে। তাঁরা সকলেই বীরপাড়ার ক্ষুদিরামপল্লি, বিরবিটি কলোনি ও শান্তিনগরের বাসিন্দা। শান্তিনগরের বাসিন্দা দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম শিবু মণ্ডলকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মৃত ও জখম প্রত্যেকেই বীরপাড়ার দিনবাজারের ব্যবসায়ী।
জেলার পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, বীরপাড়ার এশিয়ান হাইওয়েতে ওই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ছোট গাড়িটির যাত্রীরা অত রাতে কোথা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তদন্তে সেটা জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে আমাদের অনুমান, দ্রুত গতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আশপাশের বাসিন্দারা ওই সময়ে অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। তারই মধ্যে কেউ কেউ জেগে ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা মতি খান বলেন, যখন শুতে যাচ্ছিলাম সেসময়েই রাস্তার দিক থেকে একটা প্রচণ্ড শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি দু’টি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আমি বীরপাড়া থানায় খবর দিই। পুলিস ও আমরাই উদ্ধার কাজে হাত লাগাই।
বীরপাড়ার বাসিন্দা তৃণমূল কংগ্রেসের মাদারিহাট ব্লক কার্যকরী সভাপতি মান্না জৈন বলেন, বীরপাড়ায় উঠতি বয়সিদের একাংশ দ্রুত গতিতে মোটর বাইক, গাড়ি ছুটিয়ে চলে। পুলিস কোনওভাবেই লাগাম টানতে পারছে না। পুলিসকে এবিষয়ে আরও সক্রিয় হতে হবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই ছোট গাড়িটি কিনেছিল মাছ ব্যবসায়ী আশরাফ আলি। আশরাফ সাহেবই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। বীরপাড়ার ইউরোপিয়ান ক্লাব এলাকা থেকে আশরাফ সাহেব ও তাঁর পাঁচ বন্ধু ছোট গাড়িটি নিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে ধরে এথেলবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন।
পুলিসের ধারণা, ছোট গাড়িটির গতি সেসময় ঘণ্টায় ১০০ কিমিরও বেশি ছিল।
