গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার ময়নাগুড়িতে শুরু হল জল্পেশ মেলা। শিবচতুর্দশীতে শুরু হওয়া এই মেলা আগামী ১০ দিন ধরে চলবে। মেলার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী সহ অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তারা। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই মেলা ১০ দিন ধরে চলবে। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই মেলায়। শতবর্ষ পুরনো জল্পেশ মন্দিরকে যাতে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয় তারজন্য আমরা যথাযথ জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছি। রাজ্যের হেরিটেজ কমিশনকে জল্পেশ মন্দিরের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের কথা বর্ণনা করে চিঠি দেব। যাতে দ্রুত এই মন্দির হেরিটেজ তালিকায় স্থান পায় সেজন্য আমি উদ্যোগ নিচ্ছি।
অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই মেলায় মানুষ আসেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই ঐতিহ্যবাহী মেলার পরম্পরা আর ঐতিহ্য যাতে বজায় থাকে সেবিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।
ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী বলেন, মেলা চত্বর ধুলোয় ভরে গিয়েছে। জল দেওয়া প্রয়োজন। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, ছোট বেলায় বাবা মায়ের সঙ্গে গোরুর গাড়ি চেপে জল্পেশ মেলায় আসতাম। রাতে হ্যাজাক জ্বালিয়ে মেলায় থাকতাম। আমরা ক্ষমতায় আসার পর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মেলায় যেমন দিনদিন লোকসংখ্যা বাড়ছে তেমনি সুষ্ঠু আয়োজন করেছে জেলা পরিষদ।
এসজেডিএ’র চেয়্যারমান বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, মেলার পরেই সাংস্কৃতিক মঞ্চ সংস্কার করা হবে। জল্পেশ বাজারও সংস্কার করে সৌন্দর্যানের কাজ করা হবে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন বলেন, মেলা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মেলা শুরুর আগেই মেলা চত্বরে জল দেওয়া শুরু হয়। প্রয়োজনে আরও জল দেওয়া হবে।