পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নতুন প্রজন্মের সদস্যদেরও চিরাচরিত রীতি-রেওয়াজ মেনেই শিবরাত্রি ব্রত পালন করতে দেখা গেল বালুরঘাট শহর সহ মহাকুমাজুড়ে। এরকমই এক কলেজ ছাত্রী পায়েল দাস বলেন, ভালো বর পাওয়ার আশায় মন্দিরে আসিনি। নিজের পায়ে যাতে দাঁড়াতে পারি, সেজন্যই এখানে এসে মানত করেছি। বালুরঘাট শহরের বুড়ি কালীবাড়িতলা, তপন থানা এলাকার রামপুরের শিবমন্দির, হিলি থানার ত্রিমোহিনী এলাকার দাপটকালী মন্দির, বালুরঘাট ব্লকের পতিরামধাম, বোল্লাকালী মন্দিরে ভিড় ছিল দেখার মতো। বালুরঘাট ব্লকের মালঞ্চা এলাকায় এই শিবরাত্রিকে কেন্দ্র করে সাতদিন ধরে মেলা হয়। একই চিত্র দেখা যায় তপন থানার রামপুর এলাকার শিব মন্দিরেও। প্রতি বছরই এখানে কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হতে দেখা যায়।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন শিব মন্দিরে শিব ভক্তদের ঢল নামে এদিন। আলোক সজ্জার মাধ্যমে মন্দিরগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। চাকুলিয়া থানার কানকির প্রাচীন শিব মন্দিরে কয়েকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছিল। এদিন বিকেল থেকেই ভক্তদের ঢল নামে। শিব মন্দিরের বর্তমান সেবায়েত বিপুল জানা বলেন, এবারও শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে মেলা বসেছে। রবিবার অবধি মেলা চলবে। ব্রিটিশ জামানায় আমার ঠাকুরদার বাবা শ্রীপতিচরণ জানা চিকিৎসক হয়ে এই এলাকায় আসেন। সেসময় ওই এলাকা জঙ্গলে ভর্তি ছিল। তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়ে ওই স্থানে কালীমন্দির মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৫৭ সালে শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেথেকেই পুজো ও মেলা চলে আসছে। প্রতিবেশী রাজ্য বিহার থেকে অনেক ভক্ত এখানে আসেন। এছাড়াও এদিন ইসলামপুর শহরের পুরাতন বাস স্টপ এলাকা, চৌরঙ্গি মোড়, কলেজ মোড়, ডালখোলা থানার পাতনৌরের নারায়ণপুরের শিবমন্দির, দোমহনা ও ডালখোলা শহরের বিভিন্ন মন্দিরে জল ঢালতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে।
পাশাপাশি রায়গঞ্জের দেবীনগর কালীবাড়ি, বন্দর পুরাতন কালীবাড়ি, কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালীবাড়ি সহ একাধিক মন্দিরে ভিড় উপচে পড়ে। সকাল থেকেই পুণ্যার্থীদের লাইন পড়ে যায়।