রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শতবর্ষ পুরনো ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিদ্র করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই ময়নাগুড়ি থানায় জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন থানা থেকে বাড়তি পুলিস বাহিনী নিয়ে আসা হয়। ময়নাগুড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০০ অতিরিক্ত উর্দিধারী পুলিস নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার থাকবে।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিস সুপার ডেন্ডুপ শেরপা বলেন, জল্পেশ মেলা উপলক্ষে আমরা গোটা মন্দির এবং মেলা প্রাঙ্গণকে নিরাপত্তা বলে মুড়ে ফেলেছি। প্রচুর সিসিক্যামেরা বসানো হয়েছে। বাড়তি ফোর্স ময়নাগুড়ি থানায় চলে এসেছে।
জল্পেশ মেলায় প্রতিবছর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা সহ অসম, সিকিম প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান থেকে প্রচুর পুণ্যার্থী আসেন। সেকারণে প্রতিবছরের মতো এবারও মেলা প্রাঙ্গণ, মন্দির চত্বর আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
প্রশাসন ও মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জল্পেশ মন্দিরের বিভিন্ন অংশে ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করা হয়েছে। মেলার মাঠে পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪০টি সিসি ক্যামেরা বসানো কাজ এদিন শেষ হয়। জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, আমরা ৫০ জন ভলান্টিয়ারকে মন্দিরে রাখছি। তাঁরাই পুণ্যার্থীদের মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সবরকম সহযোগিতা করবেন। শিবচতুর্দশী উপলক্ষে প্রতিবছর মেলায় লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। আমাদের ধারণা এবার ওই রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। মন্দিরে পুজো দিতে ১০ ও ১০০ টাকার টিকিট রাখা হয়েছে। আমরা মন্দিরে বসে সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চালাব। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার খাতিরে ২৪ ঘণ্টাই আমাদের অফিস লোক থাকবে।