বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নর্থ ইস্টার্ন ফাউন্ডেশন ফর সোশ্যাল সায়েন্সস রিসার্চের সম্পাদক তরুণকুমার রায় বলেন, ওই টিম রাজবাড়ি এলাকায় এদিন গেলেও বড়দিঘি এলাকা সহ বিষহরি মন্দির ও শিব মন্দিরে যায়নি। এই এলাকাগুলিও রাজবাড়ির সম্পত্তির মধ্যেই পড়ে। বিষয়টি রাজ্য হেরিটেজ কমিশন সহ জেলাশাসককে আমরা জানিয়েছি।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, রাজবাড়ির সম্পত্তির বিষয়ে খতিয়ে দেখতে এদিন একটি টিম সেখানে যায়। শীঘ্রই ওই টিম সেই রিপোর্ট আমাকে দেবে। পরবর্তীতে আমি তা ওপর মহলে পাঠাব।
এসজেডিএ’র চেয়্যারমান বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুরের রাজবাড়িকে আরও সৌর্ন্দায়ান করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। এদিন ইঞ্জিনিয়াররা এলাকায় গিয়ে সবটা খতিয়ে দেখেছেন। তাঁরা রিপোর্ট দিলেই সেটি হেরিটেজ কমিশনে পাঠানো হবে। কমিশনের অনুমতি এলেই সৌর্ন্দাযনের কাজ শুরু করা হবে।
উত্তরবঙ্গের প্রাচীন জনপদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জলপাইগুড়ি। শহরের বৈকুণ্ঠপুরের রাজবাড়ির ইতিহাস প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। হেরিটেজ কমিশনের নির্দেশ থাকার পরেও জলপাইগুড়ি পুরসভা এবিষয়ে এতদিন কোনও তৎপরতা দেখায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। জলপাইগুড়ির বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বেআইনিভাবে রাজবাড়ির একাধিক জায়গা সাম্প্রতিক সময়ে দখল হয়ে গিয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে একাধিক নির্মাণও করা হচ্ছে রাজবাড়ির আশপাশে। এমন অবস্থায় রাজবাড়ির সুরক্ষা বিষয়ে একাধিকবার জেলাশাসক সহ হেরিটেজ কমিশনে ডেপুটেশন দেয় বেশকয়েকটি সংগঠন। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়্যারমান মোহন বসু অসুস্থ হওয়ার আগে হেরিটেজ কমিটি তৈরি করেন। জেলার ভূমিদপ্তর, পুরসভা ও এসজেডিএ’কে নিয়ে হেরিটেজ কমিটি তৈরি হয়। হেরিটেজ কমিটির উদ্যোগে জলপাইগুড়ি বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখা এদিন থেকে শুরু হল। রাজবাড়ির বিভিন্ন স্থান ওই কমিটির প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখেন। তবে শিবমন্দির, বিষহরি মন্দির সহ বড়দিঘি ঘুরে না দেখাতে বিভিন্ন মহল সরব হয়েছে।
জলপাইগুড়ির মানুষের মধ্যে শহরের বৈকুণ্ঠুপুরের রাজবাড়ি সর্ম্পকে আলাদা ভাবাবেগ রয়েছে। পাশের জেলা কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করতে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের ইতিহাস অনেক প্রাচীন হওয়া সত্ত্বেও জলপাইগুড়ি শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। জঙ্গলে ঘেরা এই জেলায় সারা বছরই পর্যটকের আসা-যাওয়া থাকে। ডুয়ার্সের জঙ্গলের দেশ বিদেশের পর্যটকরা আসেন। ডুয়ার্স ঘোরার মধ্যেই শহরের ইতিহাসকে যদি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা যায় সেক্ষেত্রে শতবর্ষ পুরনো এই শহরের গুরুত্ব আরও বাড়বে। এতে শহরের কিছু বেকার ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থানের পথও প্রসারিত হবে।
মানুষের বৈকুণ্ঠুপুরের প্রতি ভাবাবেগ কাজে লাগাতে চাইছে পুরসভা। পুরভোটের আগে হেরিটেজ কমিটি তৈরি করে তাই ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। তার কেন্দ্রবিন্দুতে আনা হয়েছে রাজবাড়িকে।