বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক রঞ্জন ঝা বলেন, তপন দিঘি সংস্কারে নিম্নমানের কাজের অভিযোগে উঠেছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে এদিন আমরা পরিদর্শন করতে এসেছিলাম। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। কিছু খামতি থাকায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে যাতে সঠিক সামগ্রী দিয়ে কাজ হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিধায়ক তথা রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন, ঐতিহাসিক এই তপন দিঘির সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এই দীঘি সংস্কারের অঙ্গ হিসাবে যে প্রাচীর তৈরি করা হচ্ছিল তাতে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছিল। অভিযোগ পেয়ে এদিন আমরা ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। ইটগুলি এতটাই নিম্নমানের যে হাতে নিতেই ভেঙে গিয়েছে। ঠিকাদার সংস্থাকে সঠিক মানের সামগ্রী দিয়ে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলি যাতে সমাধান করা যায় সেজন্য আগামীতে বৈঠক করা হবে।
৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তপন দিঘি সংস্কারের কাজ শুরু করেছে রাজ্য মৎস্যদপ্তর। দিঘি সংস্কার করে গড়ে তোলা হবে পর্যটন কেন্দ্র। সংস্কারের পাশাপাশি দীঘির চারপাশে প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গত রবিবার স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, বালি, ইট, লোহা সবকিছুই নিম্নমানের ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও রাষ্ট্রমন্ত্রী কাজ পরিদর্শনে যান। সেখানে তাঁরা ঠিকাদার সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে প্রাচীর তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে মন্ত্রী ইট নিতেই তা ভেঙে যায়। এনিয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী ও অধিকারিকরা কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করার কথা জানানো হয়। এছাড়া প্রাচীরের উচ্চতা স্বাভাবিকের চাইতে কম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। একই ভাবে প্রাচীরের চারপাশে যে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে তা দিতে হাঁটাচলা করা কার্যত সম্ভব নয়। পুরো কাজ পরিকল্পনাবিহীন ভাবে যে করা হচ্ছে তা এদিন প্রকাশ্যে আসে। যাতে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিক চিন্তাভাবনা করে বিকল্প কিছু ভাবার নির্দেশ দেওয়া হয়।