কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এনিয়ে সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন কালিয়াগঞ্জ নিয়ে আসন রফা হয়ে গিয়েছে। বাকি দু’টি পুরসভা নিয়ে আমরা শীঘ্রই আলোচনায় বসব। নির্বিঘ্নে ভোট হলে, মানুষ ভোট দিতে পারলে, আমরা ভালো ফল করব। এই জেলার মাটিতে কংগ্রেস-বামেরা যদি এক সঙ্গে লড়াই করে তাহলে অন্য কারও স্থান হওয়ার কথা নয়। তবে লড়াইটা অবশ্যই কঠিন। আমরা ওয়ার্ড কমিটি গঠন, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা-এসব কাজ করছি। শীঘ্রই আমরা বাড়ি বাড়ি যাব। কালিয়াগঞ্জে আসন সমঝোতা একটা হয়েছে। বাকি দুটিতেও হয়ে যাবে। কোথাও কোনও সমস্যা হবে না। সাধারণত সমঝোতার ব্যাপারটি স্থানীয় স্তরে হয়ে থাকে। ইসলামপুর, ডালখোলা এখনও আমাদের কাছে কিছু রিপোর্ট করেনি। কিছুদিনের মধ্যেই এটা ঠিক হয়ে যাবে। যদি স্থানীয় স্তরে কোথাও আসন সমঝোতা নিয়ে সমস্যা হয়, তাহলে জেলা থেকে সেটা দেখা হবে।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, মানুষ তৃণমূলকে চাইছে, সেটা নয়। সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে পারলে গতবারের ফলাফলেরই পুনরাবৃত্তি হবে এবার। আমরা বামেদের সঙ্গে সঙ্গে জোট করে লড়াই করব। দুই দলেরই কিছু ভোট আছে। সেটা এক জায়গায় এলে ফল অন্যরকম হবে। কালিয়াগঞ্জে আমরা ১০টি আসনে লড়ব। বামেরা সাতটি আসনে লড়বে। এটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। ডালখোলা, ইসলামপুর নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রতিটি পুরসভাতেই আমরা দলীয় ভাবে বৈঠক শুরু করেছি। এর মধ্যেই তিন চারবার করে আমরা দলীয়ভাবে বৈঠকে বসেছি। ফল খারাপ হবে না।
দুই দল তাদের মতো করে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করলেও রাজনৈতিক মহল পুরভোট নিয়ে কংগ্রেস ও বামেদের পক্ষে খুব বেশি আশার আলো দেখতে পাচ্ছে না। তিনটি পুরসভা এলাকাতেই এদের সংগঠন একেবারে দুর্বল হয়ে পড়েছে। পুরভোটের জন্য নতুনভাবে তাদের তৈরি হতে হচ্ছে। তিনটি শহরেই কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমেরও ঘর ভেঙেছে।