গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, এই প্রজেক্টে শহরে বিদ্যুতায়নের জন্য আটটি হাইমাস্ট লাইট বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছে। শহরে সিসিক্যামেরা লাগানোর জন্য টেন্ডার ডাকব। সিভিল কাজ বণ্টনের ক্ষেত্রে ডিপিআর তৈরির ব্যাপারে কিছু সমস্যা হয়েছিল। কয়েকটি ওয়ার্ড বাদ পড়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ উঠতে পারত। এখন আমরা সার্বিকভাবে শহরের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাইছি। সব ওয়ার্ডে কাজ বণ্টন করা হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবেই রাজ্য সরকারের প্রকল্প। এর নোডাল এজেন্সি হচ্ছে পুর দপ্তর। প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য দিক হল শহরকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা। শহরের সবুজায়ন ও সৌন্দর্যায়ন করা। বিদ্যুৎ শক্তির সংরক্ষণ করা শহরের ইনফরমেশন টেকনোলজির উন্নতি ঘটানো শহরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা এবং অবশ্যই গ্রীন সিটি প্রকল্প সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারেও বিশেষ জোর দিয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পটি ২০১৭ সালের আগে চালু হয়ে গিয়েছে। ২০১৭ সালে যখন এই বোর্ড ক্ষমতায় আসে তখন একাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদের কিছু সমস্যা হয়। প্রথমে তারা ওয়ার্ডভিত্তিক কাজটি করার চেষ্টা করছিল। ওয়ার্ড ধরে ধরে ডিপিআর তৈরি করা হচ্ছিল। এক্ষেত্রে দেখা যায় পাঁচ-ছ’টি ওয়ার্ড বাদ পড়ে গিয়েছে। তখন সেই উদ্যোগ থেকে তাদের সরে আসতে হয়। কারণ সেক্ষেত্রে শহরের উন্নয়ন নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠার অবকাশ ছিল। তাছাড়া পরে কাজ করতে গিয়ে সিডিউল বদলে যায়। পুরনো রেটে কাজ করতে গেলে কাজের গুণগত মান ভালো হতো না। পুনরায় প্ল্যান এস্টিমেট করতে গিয়ে কিছুটা সময় নষ্ট হয়। এখন তারা ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা পাবে। সেই টাকা দ্রুত অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
পুরসভা জানিয়েছে, এই টাকায় শহরে ‘বাস বে’ অর্থাৎ বাস যাওয়ার জায়গা তৈরি হবে। এছাড়া একদিকে কসবা ঢুকতে, অন্যদিকে কুলিক সেতু পার হয়ে এসে এবং বন্দর শ্মশানের আগে তিনটি বড় গেট তৈরি করা হবে। এলাকার পরিচিতি এবং সেগুলি চিহ্নিতকরণের জন্য ওই গেটগুলি তৈরি করা হবে। কুলিকের পারের সৌন্দর্যায়ন করা হবে। জায়গাটি আরও আলো দিয়ে সাজানো হবে। সেখানে বসার জন্যে কিছু চেয়ারও বসানো হবে। গাছ লাগানো হবে। শহরে একটি দুর্গা মূর্তিও বসানো হবে। তাতে থাকবে কাঁধে করে মা দুর্গাকে নিয়ে যাচ্ছেন চারজন বাহক। সামনে দু’জন ঢাক বাজাতে বাজাতে যাচ্ছেন।
চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি মহাফেজখানা ঘেঁটে আমরা জানতে পেরেছি পুরসভার জন্ম তারিখ সংশোধন করা প্রয়োজন। এযাবৎকাল আমরা জানতাম রায়গঞ্জ পুরসভা ১৯৫১ সালের ১৫ অগাস্ট তৈরি হয়েছে। পরে আমরা জানতে পারি পুরসভা ১৯৫১ সালেই হয়েছে। কিন্তু তারিখ হবে ১৯ জুলাই। সেই বার্থ সার্টিফিকেট আমরা পুরসভার সামনে প্রদর্শিত করব। আর সেই সময় সরকার মনোনীত ন’জন কমিশনার ছিলেন। তাঁদের নামও সেখানে লেখা থাকবে। আর এখন ২৬ জন কাউন্সিলার রয়েছেন। তাঁদের নামও সেখানে থাকবে। তাঁদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন।