কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বালুরঘাট টাউন বিজেপি সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের একটি স্লোগান চলছে। সেটা হলো-কাগজ আমরা দেখাব না। আর আমাদের এখানে তৃণমূলের একাংশ নেতানেত্রীর অনিয়মের এই কাগজ দেখাতে চাইছেন না এসডিও। আবাস যোজনার ঘর নিয়ে বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে এসডিও’র কাছে তদন্তের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছিলাম। কিন্তু এসডিও শাসক দলের চাপে আমাদের সেই আবেদনের ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিশ্চুপ রয়েছেন। সেব্যাপারে কোনও তথ্যই দেননি। সেই কারণে আমরা বৃহস্পতিবার এসডিও সহ ছয় জন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানালাম। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন সবাই সঠিক তথ্য পায়, সেই দাবিও জানালাম।
জবাবে পুরপ্রশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখ্যোপ্যাধ্যায় বলেন, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই পুর নির্বাচন। সেই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিজ নিজ কৌশলগত লড়াই করছে। কিন্তু তাদের সেই লড়াইয়ে আমাকে না জড়ানোই ভালো। বিজেপি বাচ্চাদের মত করছে। এটা তো আর চকোলেট নয় যে দোকান থেকে কিনে এনে দিয়ে আবদার মেটাব। তারা আমার কাছে আবাস যোজনার ঘরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। সেই মত সঠিক তদন্ত শুরু হয়েছে। কে কি চাইছে তা ভাবা এবং সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কোনও মানে হয় না।
এবিষয়ে বালুরঘাট টাউন তৃণমূল সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, সামনেই পুর নির্বাচন। শহরে তো বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই। তাই বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থেই তৃণমূল নেতৃত্ব ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এনেছেন। পুরো ভিত্তিহীন অভিযোগ। এগুলিকে তৃণমূল পাত্তা দেয় না।
অন্যদিকে, জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, বিজেপির অভিযোগ এখনও আমার হাতে আসেনি। অভিযোগ পেলে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় আবাস যোজনার বাড়ি বণ্টন নিয়ে বালুরঘাট পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারপার্সন সহ একাংশ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, ভাইস চেয়ারপার্সন বেবি বর্মন নিজের মা ও স্বামীকে নিয়ম ভেঙে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ক্ষমতার জেরে আবাস যোজনার ঘর নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কেউ এক ওয়ার্ডে ঘরের অনুমোদন নিয়ে অন্য ওয়ার্ডে ঘর বানিয়েছেন। আবার কেউ চাকরি এবং ঘর থাকা সত্ত্বেও অন্যত্র জায়গা কিনে ঘর করেছেন সরকারি আবাস যোজনার টাকায়।
উল্লেখ্য, আবাস যোজনার ঘরের দুর্নীতির তদন্তের জন্য বিজেপি প্রথমে এসডিও’র কাছে অভিযোগ জানায়। এসডিও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে না পারায় বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তারা।