পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, চাঁচল ব্লক সদর এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এখানে পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ধীরগতিতে চলছে। তবে এলাকায় মাঠ ও অন্যান্য সৌন্দর্যায়নের ব্যবস্থা করা হলে তা তারিফযোগ্য।পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যদি ফুটবল মাঠের পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা করে তাহলে আমাদের অনেক দিনের চাহিদা কিছুটা হলেও মিটবে।
চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের আজমিরি খাতুন বলেন, ফুটবল মাঠের কাজ করা সহ হাই মাস্ট লাইট বসানোর কাজে আমরা তৎপরতা শুরু করেছি। একটা খসড়া প্রকল্প তৈরি করে সেই প্রস্তাব জেলাস্তরে পাঠানো হয়েছে। আপাতত তার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। অনুমোদন পেলে সার্বিকভাবে এলাকার উন্নয়ন করতে পারব।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের উৎপল তালুকদার বলেন, চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ফুটবল মাঠের নিকাশি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রাচীর ও অন্যান্য পরিকাঠামো ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। আমরা উদ্যোগী হয়ে সেগুলি সংস্কার ও সাজাবার ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বাজেট ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে। খেলার মাঠের পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং এলাকার শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
এবিষয়ে চাঁচল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, এলাকাবাসীর চাহিদার উপর ভিত্তি করে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ নিচ্ছে, সেই পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা উন্নয়নের পক্ষে ।
চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল ফুটবল মাঠের প্রাচীরের পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হবে। এছাড়াও শিবপদ ক্লাব লাইব্রেরী এলাকায় শিশুদের বিনোদনের জন্য একটি পার্ক নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বাজেট পরিকল্পনা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেটি অনুমোদন অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ একাধিক কাজের টেন্ডার ডাকা নিয়েও তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। এলাকার ফুটবল মাঠটির অবস্থা বেহাল থাকায় এযাবৎ খেলাধুলো করা যাচ্ছিল না। বর্ষা বাদলের দিনে বেহাল নিকাশির কারণে এলাকায় জল জমে থাকত। প্রাচীর না থাকায় চারিদিক দিয়ে অবাধে যে কেউ যখন তখন প্রবেশ করতে পারত। কাজ হয়ে গেলে সেসব সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে। পাশাপাশি ব্লক সদর এলাকায় একাধিক আলোর ব্যবস্থা হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ছয়টি আলো বসাচ্ছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। ব্লক সদর এলাকায় একটি পার্ক ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। সেটির পরিকাঠামোও ঢেলে সাজাবার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।