কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রায়গঞ্জ শহরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজটে জেরবার হতে হয়। মূলত পুরসভার বাসস্ট্যান্ড থেকে মোহনবাটি পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সবসময় লেগেই থাকছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা সামাল দিতে পুলিসকে নাস্তানাবুদ হতে হয়। আপাতত এক রাস্তার দু’দিক দিয়ে শহরে যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন আসছে ও বেরিয়ে যাচ্ছে। এরফলে মাঝেমধ্যে রাস্তার দু’দিকেই যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হওয়ায় পথচারীরা রাস্তা পারাপার করতে সমস্যায় পড়েন।
রায়গঞ্জ জেলা পুলিসের ডিএসপি (ট্রাফিক) গোবিন্দ শিকদার বলেন, শহরের রাস্তার একমুখী যানবাহন চলাচলের একটি প্রস্তার রয়েছে। ভিড় এড়াতে ওই প্রস্তাবের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডব্রেকার বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ শহর ও গ্রামীণ এলাকায় যাত্রবাহী যানবাহনের পাশাপাশি মোটর বাইক,সহ প্রাইভেট কারের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন রাজ্য সড়কগুলিতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক সপ্তাহ হল পুলিসের উদ্যোগে স্পিডব্রেকার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জ শহর ও শহরতলি এলাকায় বারোদুয়ারি, বোগ্রাম, দেবীনগর কালীবাড়ি, কসবা মোড়, সেন্ট জেভিয়ার্স, চণ্ডীতলা, রামপুর হাইস্কুল এলাকায় সম্প্রতি স্পিডব্রেকার বসানো হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যাচক্র স্কুল সংলগ্ন এলাকা, কাশিবাটি স্কুল এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় স্পিডব্রেকার বসানো হবে।
পুলিস জানিয়েছে, রায়গঞ্জ জেলা পুলিসের অধীনে ইতিমধ্যে ৫০০ টি স্পিডব্রেকার জেলায় এসেছে। সবমিলে জেলার পাঁচটি থানা এলাকার জন্য ২০০০ স্পিডব্রেকারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে সেগুলি বসানো হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে, জনবহুল এলাকা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্পিডব্রেকার বসিয়ে পুলিস যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়েছে। রায়গঞ্জ শহরের লাইফ লাইন শিলিগুড়ি মোড় থেকে জেলখানা মোড় পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার অনেকাংশে নিত্য যানজটে জেরবার হতে হয় বাসিন্দাদের। এছাড়াও মাঝে মধ্যে ট্রেনের জন্য রেলগেট আটকে গেলে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় রাস্তার দু’দিকেই। এহেন পরিস্থিতিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা সামাল দিতে পুলিসকে নাজেহাল হতে হয়। পথচারীরাও স্বাভাবিকভাবে ওই রাস্তা ধরে চলাচল করতে পারেন না। তাই এনবিএসটিসির ও পুরসভার বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী যানবাহনগুলি শিলিগুড়ি মোড় হয়ে গেলেও সেগুলি যখন ফিরবে তখন কসবা মোড় অথবা জেলখানা মোড় হয়ে যাতে শহরে গাড়িগুলি আসে-সে নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন ট্রাফিক পুলিসের কর্তারা। বিষয়টি নিয়ে যানবাহন মালিক, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও প্রশাসনের আধিকারিক, পুরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করে সর্বসম্মত একটি সিদ্ধান্ত নিতে চায় পুলিস।
রায়গঞ্জে যানজট সমস্যার অন্যতম কারণ যানবাহনের সংখ্যা। সেই সংখ্যা এখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া রাস্তার অনেকাংশ দখল করে জবরদখলদাররা সকাল থেকে দোকানপাট নিয়ে বসায় সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে রায়গঞ্জ শহরের লাইফ লাইন। ফলে শহরকে যানজটমুক্ত করাটাই ট্রাফিক পুলিসের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।