ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভাওয়াড়ি বুথ ভিত্তিক কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যকে কমিটিগুলির সদস্যদের নামের তালিক পাঠাব। বুথ কমিটিগুলি সর্ম্পকে রাজ্য নেতৃত্ব খোঁজখবর নেওয়ার পরেই তা স্বীকৃতি দেবে।
টিএমওয়াইসি সূত্রে খবর, ৩ মার্চের মধ্যেই প্রতিটি বুথ কমিটির সদস্যের নাম ও বিবরণ রাজ্যে জমা করতে হবে। রাজ্যে পাঠানোর পরে সেই তালিকা খতিয়ে দেখবে নেতৃত্ব। পিকে টিমের সদস্যরা বুথ কমিটির সদস্যদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন। এমনকি তাঁদের সঙ্গে ফোনেও ইন্টারভিউ নিতে পারেন। রীতিমতো খোঁজখবর যাচাইয়ের পরেই বুথ কমিটিতে সিলমোহর পড়বে। তাই সক্রিয় কর্মীদেরই বুথ কমিটিতে রাখার জন্য তারা নির্দেশ দিয়েছে। যাঁকে বুথ কমিটিতে রাখা হবে তাঁকে সেবিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে।
বিধানসভায় লড়তে গেলে মজবুত সংগঠন দরকার। কাজের প্রতি একাগ্রতা, একনিষ্ঠ কর্মীকেই কমিটিতে রাখতে জোর দিচ্ছে তৃণমূল। সেভাবেই যুব কমিটিগুলি তৈরি করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পরেই দলের পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করা হয় ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোরকে। নির্বাচন কৌশলী পিকের পরামর্শ মতো তৃণমূল দলকে গোছাচ্ছে। পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগের পরেই তৃণমূলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে জোর দেন পিকে। বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে দলের মজবুত সংগঠনই প্রয়োজন পড়বে। পিকের পরামর্শ পাওয়ার পরে বিধানসভাওয়াড়ি বুথ ভিত্তিক কমিটি তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
পুর নির্বাচন নিয়ে জেলাজুড়ে জোর ব্যস্ততার মধ্যেও যুব কমিটিগুলি তৈরি করছে শাসক দল। ১৮-৫০ বছর বয়সিদের নিয়ে ২০ সদস্যর কমিটি তৈরি করা হবে। প্রত্যেকের ভোটার কার্ড, আধারের বিবরণ জমা নিতে বলা হয়েছে। ভোটার তালিকায় তাঁদের ক্রমিক নম্বর সহ ছবি দিতে ফর্ম পূরণের পাশাপাশি কম্পিউটারে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে তালিকা বানিয়ে তা জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই তথ্য রাজ্য নেতৃত্ব সহ জেলা নেতৃত্বের কাছে থাকবে।