ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
শিবরাত্রি উপলক্ষে আকন্দ ফুল, ধুতরা ফুল ও বেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাচার হিসেবে নির্দিষ্ট। শুক্রবার শিবরাত্রি। তার তার আগের দিন সেসব সামগ্রী চড়া দামে বিক্রি হল বালুরঘাটে। বিক্রেতাদের দাবি, যোগানের অভাব থাকার কারণে ফুলের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেকটাই বেড়েছে। বালুরঘাট শহরে মোট সাতটি বাজার রয়েছে। প্রায় সব বাজারেই শিবপুজোর জন্য প্রয়োজনীয় উপাচার বিক্রি হতে দেখা যায়। ফুল ও ফলমূলের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় সাধারণ মানুষকে শিবরাত্রি পালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এদিন বালুরঘাটের বাজারগুলিতে আকুন্দ ফুলের মালা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পিস, গাঁদা ফুল ১০০ টাকা কেজি, বেল আট থেকে ১০ টাকা, ধুতরা ফুল পাঁচ টাকা, ভাঁটফুল পাঁচ টাকা, ভাং পাতা পাঁচ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। দাম বেড়েছে ফলেরও। এদিন বালুরঘাটে আপেল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, কুল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, কমলা ১০ টাকা পিস, মৌসম্বি ১০০ টাকা কেজি, আঙুর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, কলা আট থেকে ১০ টাকা জোড়া দামে বিক্রি হয়েছে।
এদিন শহরের বড় বাজারে বাজার করতে আসা সুমিতা সাহা বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এই বছরে ফুল ও ফলের দাম প্রায় দ্বিগুণ। আকন্দ ফুলের মালা গতবছর ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে ছিল। কিন্তু এবছর তা বেড়ে প্রায় ৪০ টাকা হয়ে গেছে, ধুতরা ফুল কিনতে গেলে এক পিস পাঁচ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। শিবরাত্রি পালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের মত সাধারন মানুষদের। এসমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস তো কিনতে হবেই।
এদিন পাওয়ার হাউস বাজারে বাজার করতে আসা মালা রায় বলেন, সব ফলের দাম গত দুই-একদিনের মধ্যে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। দুদিন আগে যে ফল ১০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি, সেটি এদিন ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হল। শীতকালে গাঁদাফুল প্রায় ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ভাবাই যায় না। ধুতরা ফুলের দামও বেড়েছে।
ফুল বিক্রেতা ইলা মহন্ত বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর এই ফুলের যোগান অনেকটাই কম। তাই দামটাও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অনেকটাই বেশি। ফল ব্যইবসায়ী পিন্টু বিশ্বাস বলেন, ফলের দাম এবার অনেকটাই বেশি। দাম বেশি বলে ফল-মূল বিক্রিও হচ্ছে কিন্তু কম। প্রয়োজনের থেকে বেশি ফলমূল কেউ কিনছেনই না।