কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শিবপুজোর জন্য শহরের বাজারগুলিতে একেবারে প্যাকেট করা অবস্থাতেই বিক্রি হচ্ছে প্রয়োজনীয় উপাচার। ৩০ টাকার একেকটি প্যাকেটে থাকছে আকন্দ ফুলের মালা, ধুতরা বীজ ইত্যাদি। ফলের বাজারে আপেল, কেশর, বেদানা, পেয়ারার দাম খুব একটা বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পোশাকের দোকানগুলিতে যুবকরা স্নানযাত্রার জন্য মহাকাল লেখা গেরুয়া রংয়ের গেঞ্জি ও প্যান্টের জন্য ভিড় করেন।
মঙ্গলবাড়ি শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেটে পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিমলা মণ্ডল। বাড়ি পাণ্ডুয়ায়। তিনি বলেন, বাড়িতে বেলগাছ রয়েছে। সেই গাছ থেকেই বেল নিয়ে বাজারে এসেছি বিক্রি করার জন্য। এছাড়াও নানা জায়গা থেকে জোগাড় করে আকন্দ, ধুতরা ফুল, ধুতরা বীজ নিয়ে এসে বিক্রি করছি। দাম খুব বেশি নয়। মানুষ অনেক আগ্রহ করে কিনছেন। শুধু ছোট বেল আলাদা করে পাঁচ টাকা করে বিক্রি করছি। আর সব উপকরণ অল্প করে নিয়ে মিলিয়ে একটা প্যাকেট বানিয়েছি। দাম রেখেছি ৩০ টাকা। সকাল থেকেই ভালো বিক্রি হয়েছে।
বাজার করতে আসা এক পড়ুয়া সুদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, যখন ছোট ছিলাম তখন এসব কেনার কথা তো ভাবতামই না। বিকেল হলেই ধুতরা ফুল সহ পুজোর নানা প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি পাড়ার মধ্যেই এদিক ওদিক খুঁজে বেড়াতাম। পেয়েও যেতাম। এখন আর সেসব পাওয়াও যায় না। যাওয়াও হয় না। বাজারে এলেই সব একসঙ্গে পেয়ে যাই। ফলের দাম খুব একটা বাড়েনি বলেই দেখলাম। তাই সাধ্যমত বাজার করেছি।
জল্পেশ বা বাবাধামে শিবের মাথায় জল ঢালতে যাওয়ার জন্য শহরে গেরুয়া রংয়ের জামার চাহিদা ভালোই। সেই পোশাক বিক্রেতা প্রেমতোষ ঘোষ ও সুমিত চক্রবর্তী বলেন, বছরে এই সময়টায় মানুষ শিবের মাথায় জল ঢালতে যায়। তাই ওই ধরনের পোশাক কেনার ধুম পড়ে গিয়েছে। আগে ওং নমঃ শিবায় লেখা জামা বা গেঞ্জি বিক্রি হতো বেশি। এবার মহাকাল লেখা গেঞ্জি ও প্যান্টের খোঁজ করছে অনেকে। ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
রথবাড়ি বাজারে মহাকাল লেখা গেঞ্জি কিনতে আসা মুচিয়ার এক বাসিন্দা শ্যামলী চৌধুরী বলেন, একটা কাজে শহরে এসেছিলাম। নিজের জন্য নয়,আমার ছেলের জন্য মহাকাল একটা হাফ প্যান্ট নিলাম।