পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে দিনহাটা পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতেই লিড পায় বিজেপি। শহরের ভোট গেরুয়া শিবির থেকে ঘাসফুল শিবিরে ফিরিয়ে নিয়ে এসে ফের পুরবোর্ড নিজেদের দখলে রাখা এবার উদয়ন গুহের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিরোধীরা বলছে, সেজন্য এখন থেকে ওয়ার্ড ভিত্তিক জনসংযোগে নেমেছেন উদয়ন গুহ।
উদয়নবাবু বুধবার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে দিনভর ঘুরে ঘুরে শহরবাসীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মাতামত নেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রচার চালান। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ছোট ছোট সভা করেন। তাঁর প্রচার নিয়ে উদয়নবাবু বলেন, ওয়ার্ডে গিয়ে বাড়ি বাড়ি এনআরসি, সিএএ ও এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রচার করছি। কর্মিসভাও করছি। আমরা সারাবছর মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রাখি। সেই প্রচারেই চলছে। সামনেই ভোট বা ভোট এসেছে বলে নয়।
ফব’র যুব লিগের রাজ্য সভাপতি আব্দুর রউফ বলেন, গত নির্বাচনে শহরের মানুষ শান্তির জন্য আমাদের ভোট দিয়ে জয়ী করেছিল। এবারেও শহরের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে পুনরায় জয়ী করবেন। তাই যে যতই আগে থেকে প্রচারে নামুক, কেনও লাভ হবে না।
দিনহাটার বাসিন্দা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, গত লোকসভা ভোটে শহরের মানুষ কি চায় তার সিদ্ধন্ত ইভিএমে জানিয়ে দিয়েছে।
পুরসভা ভোট নিয়ে বামেদের এখনও দিনহাটায় প্রচারে দেখা না গেলেও পুরবোর্ড দখলের জন্য বামেরা কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে জোট গড়েছে। ইতিমধ্যে তাদের জোটের বৈঠকে আসন ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। ওই দু’দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬টি আসনের মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লক আটটি, সিপিএম পাঁচটি এবং কংগ্রেস তিনটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত পুরসভা নির্বাচনে ১০টি আসন পেয়ে এককভাবে পুরবোর্ড দখল করে ফব। সিপিএম ও তৃণমূল তিনটি করে আসন পেয়েছিল। পরবর্তীতে ফব ছেড়ে আসা কাউন্সিলারদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ। এরপর থেকেই তৃণমূলের দখলে রয়েছে দিনহাটার পুরবোর্ড।