বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শীতলকুচি থানার ওসি কাজল সরকার বলেন, তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে উটটি থানায় রয়েছে। আমরা নিয়মিত প্রাণীটির পরিচর্যা করছি। গাছের পাতা কর্মীরা খাওয়াচ্ছেন। বালি ফেলে মরুভূমির পরিবেশও করা হয়েছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এধরনের উদ্ধার হওয়া উটকে রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় নিয়ে যায়। তারা এসেছিল আমাদের কাছে। আদালতের অনুমতি পেলে আমরা উটটিকে ওই সংস্থাকে হস্তান্তর করব।
শীতলকুচি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসের ৯ তারিখে শীতলকুচির লালাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়মরিচা থেকে পুলিস কর্মীরা উটটি উদ্ধার করেন। ওই সময় থেকেই উটটি থানা চত্বরে বাঁধা রয়েছে। প্রসঙ্গত, উট হত্যা করার বিরুদ্ধে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করায় পুলিসের অভিযানে ওই সময়ে উটটি উদ্ধার হয়। পুলিস জানিয়েছে, বড়মরিচায় এক ব্যক্তি এক দালালের মাধ্যমে উটটিকে গ্রামে নিয়ে এসেছিল। সেই খবর জানার পর পুলিস গিয়ে উটটি উদ্ধার করে। সেথেকে সেটি থানাতেই আছে। কাজের ফাঁকে পুলিস কর্মীরা উটটিকে গাছের পাতা খাওয়াচ্ছেন। পশু চিকিৎসক দিয়ে মাঝেমধ্যে স্বাস্থ্যও পরীক্ষাও করানো হচ্ছে। কখনও থানা চত্বরে ছেড়েও দেওয়া হয়। থানার এক অফিসার বলেন,উটটিকে নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। গাছের পাতা খেতে দেওয়া ছাড়া আর কিছু পাচ্ছি না। সুষ্ঠু পরিচর্যার অভাবেই হয়তো প্রাণীটি দুর্বল হয়ে পড়ছে। উটটিকে রাজস্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে জেলা পুলিস বিভাগকে চিঠিচাপাটিও করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উটটিকে রাজস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য হলফনামা জমা দিয়েছে। আদালত থেকে অর্ডার এলেই প্রাণীটিকে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।