কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পূণ্যভূমি খলিসামারি পঞ্চানন বর্মা ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট মহিষমুড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। এলাকার বাসিন্দারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নিঃশর্তে ২০০ বিঘা জমি দিতেও প্রস্তুত। সম্প্রতি জমিদাতাদের সঙ্গে মাথাভাঙায় একটি বৈঠকও করেছেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। সেখানে বাসিন্দাদের মতামত জানার পর তিনি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরকে এব্যাপারে জমি জরিপ করে রির্পোট দিতে বলেন।এদিন দপ্তরের কর্মীরা সেই জমি পরিমাপ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে জমি জরিপ হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। কারন বর্তমান রাজ্যের শাসকদল ক্ষমতায় আসার আগেই পঞ্চানন বর্মার জন্মভূমি খলিসামারিতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবিতে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলন সাংগঠিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয় কোচবিহার শহরের উপকণ্ঠে কৃষি ফার্মের জমিতে। এরপর খলিসামারিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ে তোলার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। নিঃশর্তে জমি দান করারও প্রতিশ্রুতি দেন বাসিন্দারা। অবশেষে এখানকার মানুষের দাবি মেনে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে জমি জরিপের কাজ শুরু করল।
এব্যাপারে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের মাথাভাঙার এক আধিকারিক নকুল মণ্ডল বলেন, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জেলা দপ্তরকে চিঠি দিয়ে জমি জরিপের কথা জানিয়েছে। জেলা থেকে আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। এদিন আমরা জমিটি মাপজোক করলাম। শীঘ্রই রির্পোট তৈরি করে জেলায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনকারী খলিসামারি পঞ্চানন স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়ার কারণে আমরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছিলাম। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে ভূমি দপ্তর জমি জরিপের কাজ করল। আমরা আশা করছি ভূমি রাজস্ব দপ্তর শীঘ্রই রির্পোট জমা দেবে। তারপরই জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বুধবার এনিয়ে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলি বলেন, খলিসামারিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য যে ৫০ একর জমি দেওয়ার কথা হয়েছিল তারমধ্যে একটি অংশ জিরো খতিয়ানের। আমরা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরকে রায়াতি জমি ও জিরো খতিয়ানের জমি আলাদা করে পরিমাপ করার আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন জমিটি পরিমাপ করা হয়েছে। এই রির্পোট হাতে এলেই জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।