কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আগামী এপ্রিল মাসেই পুরভোট। এই অবস্থায় বিল্ডিং প্ল্যান পাশ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে সিপিএমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। বুধবার পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার বলেন, অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে এর আগেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময়ও অভিযুক্তকে শাস্তি পেতে হয়েছিল। সবকিছু জানার পর দক্ষ কর্মীদের বসিয়ে রেখে অভিযুক্ত ওই কর্মীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছিল। কারণ ওই কর্মী সিপিএমের এক বড় নেতার ঘনিষ্ঠ। তাছাড়া পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে আরও কিছু কর্মী রয়েছেন। যাঁরা সিপিএমের ক্যাডার। মানুষকে পরিষেবা না দিয়ে বিল্ডিং বিভাগকে ঘুঘুর বাসায় পরিণত করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ওই অনিয়মের দায় পুরসভার ১ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারপার্সনও এড়াতে পারেন না।
পুরভোটের মুখে তৃণমূল এনিয়ে সরব হওয়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম। তাদের একাংশের ধারণা, এমনিতেই এবার পুরভোটের ময়দান অনেকটাই বন্ধুর। এই অবস্থায় তৃণমূলকে রুখতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে হচ্ছে। এজন্য নিজেদের ঝুলি থেকে বেশকিছু আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে হচ্ছে। এই অবস্থায় ওই অনিয়মের অভিযোগ তৃণমূলের কাছে একটি বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুরসভার ১ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারপার্সন সিপিএমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার স্নিগ্ধা হাজরা অবশ্য বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই অনিয়ন সামনে আসে। ১৭ তারিখ এই ব্যাপারে পুরসভায় নোটশিট দেওয়া হয়। ১৮ তারিখ থানায় এফআইআর করা হয়। তাছাড়া ওই ঘটনা নিয়ে কোনও নাগরিক অভিযোগ করেননি। হিসেব পরীক্ষা করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে। নিজেরাই স্বতঃদপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। কাজেই অনিয়ম ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। এখন বিষয়টি জানাজানি হতেই তৃণমূলীরা হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছেন। এমন রাজনীতি করে ওনাদের কোনও লাভ হবে না। তাছাড়া ওরা রাজ্যের ক্ষমতায় আছে। ওদের হাতে অনেক বড় বড় তদন্তকারী সংস্থা আছে। ওসব সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। সুতরাং ওদের ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।