দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বাংলা পরীক্ষার দিন যে স্কুলে নকল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছিল, সেই রতুয়ার বাহারাল হাইস্কুলের পরীক্ষার সিট পড়েছিল সামসির মতিগঞ্জ বৈদ্যনাথপুর স্কুলে। স্বাভাবিকভাবেই ওই স্কুল চত্বরে এদিন উত্তেজনা ছিল। সামসি এগ্রিল হাইস্কুল চত্বরেও উত্তেজনা ছিল। বৈদ্যনাথপুর স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার হওয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরীক্ষার্থীদের একাংশ দোতলা ঘর থেকে একটি চেয়ার পুকুরে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। পরে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই নকল সরবরাহের চেষ্টা চলে। একাধিকবার পুলিস ও র্যা ফ নকল সরবরাহকারীদের ধাওয়া করে। সে সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিস বাহিনী ও র্যা ফ নামে। পরীক্ষার শেষে অবশ্য অনেক পরীক্ষার্থী হাসিমুখে বেরিয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় পরীক্ষা হওয়ায় অভিভাবকরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এবিষয়ে চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, বৈদ্যনাথপুর হাইস্কুলে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোথাও কোনও প্রকার অশান্তি হয়নি। পরীক্ষার শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে। এদিন পুলিস সতর্ক ছিল। স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়।
এদিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, সামসি, চাঁচলের একাধিক মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রচুর পুলিস বাহিনী ও র্যা ফ মোতায়েন করা হয়। মঙ্গলবার, পরীক্ষার প্রথম দিন রতুয়া হাই স্কুল এবং রাইমোহন মোহিনীমোহন বিদ্যাপীঠে নকল সরবরাহের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় তিনজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। সেই ঘটনায় পুনরাবৃত্তি রুখতেই চাঁচল মহকুমা পুলিস সংবেদনশীল পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে র্যা ফ মোতায়েন করে পরীক্ষা নিয়েছে। তারাই নকল সরবরাহকারীদের তাড়া করে গণটুকলি রুখে দিয়েছে। বৈদ্যনাথপুর হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা বাইরে থেকে নকল নেওয়ার চেষ্টা চালায়। সে সময় সজাগ থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা টের পেয়ে নকল সরবরাহ বানচাল করে দেয়। সামসির এগ্রিল হাই স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রের কার্নিশে চেপে নকল সরবরাহের চেষ্টা চলে। বাহারাল এলাকার অনেক পরীক্ষার্থী বৈদ্যনাথপুর পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার শেষে হৈ হট্টগোল বিশৃঙ্খলা করে। যদিও তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এছাড়াও চাঁচল মহকুমার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে উত্তেজনার আবহ থাকলেও ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনও অশান্তি হয়নি ।
সামসির বাসিন্দা মনোরঞ্জন মণ্ডল বলেন, সামসি সীতা দেবী বালিকা বিদ্যামন্দির থেকে আমার ভাইঝি পরীক্ষা দিচ্ছে। এখানে অন্য এলাকার পরীক্ষার্থীরাও রয়েছে। শুরুতেই মোবাইল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি গন্ডগোল হয়। যদিও পরে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন থাকায় উত্তেজনা হলেও পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই দিতে পেরেছে পরীক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সীতা দেবী বালিকা বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থী বলে, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। রাইটিং স্কিল থেকে গ্রামার, আনসিন সবকিছুই সহজ ছিল।