কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, একটি হোয়াটস অ্যাপ বার্তার মাধ্যমে গত দু’তিনদিন ধরে এই গুজব ছড়ানো শুরু হয়। এর আগে অন্য একটি কাল্পনিক ভাইরাস সম্পর্কেও এই ধরণের গুজব ছড়ানো হয়েছিল রাজ্যের অন্যান্য জেলায়। এবার সেই কাল্পনিক ভাইরাসের নাম পাল্টে একই বার্তায় করোনা ভাইরাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই বার্তাটি অনেকেই জেনে বা না জেনে নিজেদের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে শেয়ার করতে থাকায় তা ভাইরাল হয়ে যায় হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে।
মালদহ জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের জারি করা বিবৃতিতে সই করেছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ডাঃ অমিত দাঁ ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিজয়প্রসাদ মুখোপাধ্যায়। গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের এই বার্তা যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তা মেনে নিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
গুজব সম্বলিত ওই হোয়াটস অ্যাপ বার্তায় বলা হয়, মালদহ শহরের একটি ওয়ার্ডের একটি অংশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। কিছু কাল্পনিক চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে ওই বার্তায়। এতে নাগরিকদের একাংশ উদ্বিগ্নও হয়ে পড়েন।
জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা তাঁদের লিখিত বিবৃতিতে পুরো বিষয়টিকেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ওই বার্তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই। সুতরাং বার্তাটিকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে নাগরিক সমাজকে।
বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জেলা পুলিসও। পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, গুজব ছড়ানো একটি গুরুতর অপরাধ। বিশেষ করে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার যে চেষ্টা এক স্বার্থান্বেষী মহল থেকে করা হচ্ছে তা নিয়ে পুলিস অবগত আছে।
পুলিস সুপার বলেন, এই ধরণের বার্তা অন্য কাউকে পাঠানোর আগে তার যাথার্থতা যাচাই করা প্রয়োজন। যদি দেখা যায়, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এই ধরণের গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তাহলে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
স্বাস্থ্যকর্তা ও পুলিসের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে মালদহের নাগরিকমহল। তাঁদের বক্তব্য, আশঙ্কা ও বিভ্রান্তি ছড়াতেই ইচ্ছাকৃতভাবে ওই মিথ্যা বার্তা রটনা করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যদপ্তর ও পুলিসের সতর্কতার পরে এই গুজবের অবসান হবে বলেও আশাবাদী তাঁরা।