দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
তৃণমূলের কালচিনি ব্লক সভাপতি অসীম মজুমদার বলেন, প্রশাসন যেসময়ে রাজ্য সরকারের ওই অনুদানের চেক নেওয়ার জন্য ডেকেছিল সেসময় শহিদ পরিবারটি কেন্দ্রীয় সরকারের পাঁচলক্ষ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক নিতে ভিন রাজ্যে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর রাজ্য সরকারের ওই চেক কেন শহিদ পরিবারটি পায়নি তা বিডিও’কে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কালচিনির বিডিও ভূষণ শেরপা বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বুধবারই অনেকের মারফত বিষয়টি জানতে পারি। শহিদ পরিবারটি কেন ওই চেক এখনও পেল না এবিষয়ে জেলায় বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য যথারীতি রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর চলছে। আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সহ সভাপতি জয়ন্ত রায় বলেন, তৃণমূল সরকারের এটাই দস্তুর। এরাজ্যে কেউ মদ খেয়ে মারা গেলে রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য দেয়। অথচ দেশরক্ষায় নিয়োজিত শহিদ পরিবার মর্যাদা পায় না।
চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা বলেন, বিজেপি বড় বড় কথা বলছে। গোটা দেশ জানে শহিদদের নিয়ে কারা রাজনীতি করে। নিশ্চয়ই কোনও জটিলতা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত প্রশাসনের সঙ্গে আমি কথা বলব।
বিএসএফের ৪৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান সঞ্জয় তিরকি ২০১২ সালে চাকরিতে যোগ দেন। সেসময় তাঁর কর্মস্থল ছিল ইম্ফল। বাগানের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক বিষ্ণুবাবুর দু’ছেলের মধ্যে সঞ্জয়ই ছিল বড়। ছোট ছেলে সঞ্জীব এসএসবি কর্মরত। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় শহিদ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর পরিবারকে পাঁচলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে। সেই অনুদানের চেক আনতে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পরিবারটি অন্য রাজ্যে গিয়েছিল। সেসময় আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন থেকে রাজ্যের দু’লক্ষ টাকার চেক নিতে শহিদ পরিবারটিকে ফোন করা হয়।
কিন্তু অন্যত্র থাকার জন্য শহিদের পরিবারের পক্ষে রাজ্যের ওই অনুদানের চেক নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর ভিনরাজ্য থেকে ফিরে ওই বছরেরই ২৭ ডিসেম্বর শহিদের পরিবার চেকের বিষয়ে খোঁজ নিতে প্রশাসনের কাছে যায়। প্রশাসন থেকে তখন বলা হয় চেক ফেরত গিয়েছে।
বিষ্ণুবাবু বলেন, আমরা রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য চাইনি। রাজ্য সরকারই সেসময় দু’লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কেন তা দেওয়া হল না বুঝতে পারছি না।