দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বিজ্ঞানমঞ্চের মালদহ জেলা শাখার সহ সম্পাদক সুনীলকুমার সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গঙ্গা পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে মুখে নানা কথা বলছে। কেন্দ্রের তরফে এব্যাপারে প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফরাক্কায় দুর্ঘটনার পর তারা এখনও কংক্রিটের ধংসাবশেষ সরানোর ব্যাপারে কোনও ভ্রুক্ষেপ করছে না। এই গার্ডার দীর্ঘদিন গঙ্গায় পড়ে থাকলে নদীর জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হতে পারে।
বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী এর আগে মহানন্দা নদী বাঁচানোর জন্য কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ফরাক্কা সেতুর ব্যাপারে তিনি বলেন, নির্মীয়মান সেতুটি সদ্য ভেঙে পড়েছে। এখনও এনিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। ফলে আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করছি। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব নদীবক্ষ পরিষ্কার করা হবে বলে আমরা আশাবাদী।
এদিকে, প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার প্রকল্প ম্যানেজার পি ভেঙ্কটেস্বামী বলেন, আপাতত তদন্তের জন্য কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঠিক কী কারণে সেতুর গার্ডার ভেঙেছে, তা না জানা পর্যন্ত ধংসস্তুপ সরানো সম্ভব নয়। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে এব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া কিছু প্রযুক্তিগত জটিলতা রয়েছে। তা সমাধান না করে গার্ডার সরানো যাবে না।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে কাজ চলাকালীন ফরাক্কায় নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় এক ইঞ্জিনিয়ার এবং এক টেকনিশিয়ানের মৃত্যু হয়। জখম হন একাধিক শ্রমিক। সেতুর নকশায় গলদ ছিল বলে মৃত টেকনিশিয়ানের বাবা অভিযোগ করেন। তিনিও গত ২০ বছর ধরে ওই সংস্থায় টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করছেন। যদিও সংস্থার প্রকল্প ম্যানেজার ওই অভিযোগ মানতে চাননি। তদন্তের পরেই এব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও পৃথকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মালদহ ডিভিশনের ম্যানেজার ওমনাথ বিহারী বলেন, দুটি স্তম্ভের উপরে কংক্রিটের গার্ডার বসানোর জন্য দুটি লোহার লঞ্চার ব্যবহার করা হচ্ছিল। প্রতিটি লঞ্চারের ওজন ৫০০ টন। এক একটি লঞ্চার ১২১.৫ মিটার লম্বা। দুর্ঘটনায় একটি লঞ্চার নদীবক্ষে পড়ে যায়। অন্যটি কংক্রিটের বসে যাওয়া গার্ডারের উপর আটকে রয়েছে। সেটি অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। সামান্য নড়াচড়ায় সেটি পড়ে গিয়ে আরও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ওই ভারী লঞ্চার নামানোর পরেই কংক্রিটের গার্ডার সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করতে হবে। এদিকে ওই লোহার কাঠামো নামানোর মতো দক্ষতা বা মেশিনপত্র প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার নেই। তারা এব্যাপারে পেশাদার সংস্থার সঙ্গে কথা বলছে। তবে নদীর পরিবেশের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা দেখা হবে।