দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার সুপার সচিন মক্কর বলেন, ডালখোলা থানার নিজস্ব ভবনের জন্য জমির খোঁজ চলছে। কয়েকটি জমি দেখা হয়েছে। কিন্তু সেগুলির কাগজপত্র এখনও আমরা হাতে পাইনি। জমি পেলেই থানার নিজস্ব ভবন তৈরির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। ডালখোলা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের অন্যতম সদস্য সুভাষ গোস্বামী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকেও থানার জন্য দু’টি জায়গা দেখেছি। থানার নিজস্ব ভবন তৈরির জন্য জমি পেতে আমরাও পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছি।
ডালখোলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজেশ গুপ্তা বলেন, থানার জমি নেওয়ার জন্য প্রশাসন কয়েকবার বৈঠক করেছে। আমাদেরও ডাকা হয়েছিল। জমি কেনার জন্য আমাদের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। আমরা রাজিও ছিলাম। কিন্তু প্রশাসন তেমন ভাবে উদ্যোগ নেয়নি। পুলিস থানা হলেও পরিষেবা আগের ফাঁড়ির মতোই রয়েছে। এলাকা বৃদ্ধি হয়েছে কিন্তু পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। ভুসামনিতে একটি জমি দেখা হয়েছিল, কিন্তু স্থানীয় কিছু নেতার জন্য জমিটি হাতছাড়া হয়েছে। পরে আমরা কলেজ মোড়ের একটি জমির কথা বলেছিলাম কিন্তু প্রশাসন উদ্যোগ নেয়নি। কার্যত প্রশাসনের উদ্যোগের অভাবেই এখনও জমি ঠিক হয়নি।
বিহার লাগোয়া এই শহর আগে একটি পুলিস ফাঁড়ি দিয়ে চলত। করণদিঘি থানার অধীন ছিল ফাঁড়িটি। এক দশকেরও বেশি সময় আগে থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যাবসায়ীদের পক্ষ থেকে থানার দাবি ওঠে। পরে ক্যাবিনেটে বিষয়টি পাশ হওয়ার পর দু’বছর আগে থানা তৈরি হয়। টাউন হলের একটি অংশে থানা চলছে। নিজস্ব ভবন না থাকার কারনে সামান্য জায়গার মধ্যে কোনওক্রমে থানার কাজকর্ম চলছে। ডালখোলা শহর বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে পরিচিত। এখানে জেলার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য থেকেও ব্যবসায়ীরা আসেন। বিশেষ করে ভুট্টার মরশুমে প্রচুর পরিমাণ ভুট্টা কেনাবেচা হয়। রেলের রেক পয়েন্ট এখানে আছে। রেকের মাধ্যমে তা অন্যান্য রাজ্যে পাঠানো হয়। সংলগ্ন বিহার থেকে প্রচুর মানুষ প্রতিদিন কেনাকাটার জন্য ডালখোলায় আসে। মুদি থেকে শুরু করে জামাকাপড় সহ অন্যান্য পণ্যের পাইকারী দরে কিনতে প্রচুর মানুষ এখানে আসে। বাণিজ্যিক দিক দিয়ে যেমন শহরটির গুরুত্ব অপরিসীম, তেমনি শহর মধ্যস্থ ৩৪নং জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটে নাকাল হয় গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ। যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখা এখানে পুলিসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বাইরের লোকের আনাগোনার সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করাও চ্যালেঞ্জ। বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এলাকায় অপরাধ সংগঠিত করে বিহারে গিয়ে আত্মগোপন করে। এর ফলে অপরাধীদের নাগাল পাওয়া পুলিসের কাছে কঠিন হয়ে পড়ে।