গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছে, কোচবিহার শহরে ৫০০০, দিনহাটায় ৩০০০, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙ্গা, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়িতে ১০০০ করে টোটো চলাচল করে। জেলাজুড়ে ২০ হাজারের বেশি টোটো চলাচল করে। অধিকাংশ টোটোরই কোনও টিন (টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) নেই। তার উপর নিত্যদিন টোটোর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। টোটো দুর্ঘটনায় পড়লে এর যাত্রী, গাড়ির মালিক বা চালক কেউ কোনও বিমার সুযোগ পান না। ই-রিকশা চালাতে লাইন্সেস লাগবে। পাশাপাশি তারা নির্দিষ্ট নম্বরও পাবেন। এছাড়াও যে সব পুরনো টোটোগুলি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাদের নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবে। তাঁরা টোটো জমা দিলে সরকারি কিছু টাকা দেওয়া হবে। নতুন নিয়মে টোটো মালিকরা খানিকটা সমস্যায় পড়লেও শহরবাসীদের দাবি, এতে টোটোর দাপট কমবে। এতে শহরে স্বস্তি ফিরবে। বাসিন্দারা বলেন, জনসংখ্যার চাপ, যানবাহন জেলা শহর ছাড়াও মহকুমা শহরেও প্রায় একভাবে বেড়েছে। দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরের বেশকিছু রাস্তায় ঠিকমতো চলাফেরা করা যায় না। পরিকল্পনার অভাবেই যানজট এখন নিত্য যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কোচবিহারের ডিএসপি (ট্রাফিক) চন্দন দাস বলেন, কোচবিহার সহ জেলার বিভিন্ন শহরে যানজট কমাতে ও লাগামছাড়া টোটোর দৌরাত্ম্য কামাতে এসপি স্যারের নির্দেশে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। শহর, গ্রামাঞ্চলের ও শহর সংলগ্ন এলাকার ই-রিকশর জন্য আলাদা আলাদা রঙ থাকবে। ফলে বাইরের কোনও ই-রিকশ শহরে ঢুকলে তা সহজেই চেনা যাবে ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। লাইসেন্স ছাড়া আর কেউই ই-রিকশ চালাতে পারবেন না। তাঁদের ইন্সুরেন্সও থাকবে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে বিমার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে টোটো বদল করে ই-রিকশ নিতে হবে। কোচবিহার জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক আশুতোষ রায় বলেন, এবিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জেলায় যত টোটো, ই-রিকশ আছে সেগুলির লিস্ট তৈরি করা হচ্ছে। বিডিওদের ও পুরসভাগুলিকে সেই লিস্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই লিস্ট পাওয়ার পর এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আইএনটিটিইউসির দিনহাটা মহকুমা ই-রিকশ শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, জেলা পরিষদে এবিষয়ে একটা মিটিং হয়েছে। তবে কবে থেকে এটা হবে সেই তারিখটা এখনও ঠিক হয়নি। টোটো চালকদের লিস্ট করা হচ্ছে। আমাদের দাবি যাতে সমস্ত টোটো চালকই যাতে ই-রিকশ কিনে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পান।