দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
গত পুরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস পুরসভার ওয়ার্ডগুলির অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ করার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বর্তমান পুরবোর্ডের দাবি, ক্ষমতায় আসার পর শহরের ৭০ শতাংশ বাড়িতে ইতিমধ্যেই পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে তৈরি করা নতুন জলের রিজার্ভার থেকে পানীয়জল বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে বিরোধীদের বক্তব্য, পুরভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালিত পুরোবার্ড লোক দেখানো উন্নয়নের কাজে নেমেছে। তারা ভোটারদের মন ভোলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তকুমার বর্মা বলেন, গত পুর নির্বাচনের আগে ওয়ার্ডবাসীদের দেওয়া প্রতিস্রুতি অনুযায়ী প্রত্যেকটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাইপের মাধ্যমে জলের কানেকশন পেতে ওয়ার্ডবাসীদের পুরসভায় এসে আবেদন জানাতে হবে। পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের অম্লান বর্মা বলেন, আগের একটি রিজার্ভার থেকে ওয়ার্ডগুলির প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব ছিল না। তবে পুর দপ্তরের টাকায় শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়হিন্দ ক্লাব রোডের পাশে আরেকটি নতুন রিজার্ভার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ওই রিজার্ভারটি থেকেই পাইপের মাধ্যমে বাকি বাড়িগুলিতে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। তবে পানীয় জল পাবার জন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে আবেদন এলে ফি’র বিষয়টি নিয়ে পুরবোর্ড পরবর্তীতে বিবেচনা করবে।
সিপিএমের তুফানগঞ্জ এরিয়া কমিটির সম্পাদক তথা জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ বিশ্বাস বলেন, সমস্ত ওয়ার্ডগুলির সার্বিক উন্নয়ন করা পুরসভার লক্ষ্য থাকা উচিত। পরিষেবা দেওয়ার মনোভাব থাকলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়। এর আগেও তৃণমূল পরিচালিত তুফানগঞ্জ পুরসভা অনেক পরিকল্পনা করেও বাস্তবায়িত করতে পারেনি। ভোটের মুখে ভোটারদের মন ভোলানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৩৫ হাজারের মতো বাসিন্দা রয়েছে। গত পুরসভা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড বেশিরভাগ বাড়িতে পানীয়জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। এখন প্রতিশ্রুতি মতো ওয়ার্ডগুলির বাকি বাড়িতে পানীয়জল সরবরাহের ব্যবস্থা হয়ে গেলে পানীয় জলের সমস্যা মিটে যাবে।