বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরাতন মালসহ শহরের বাসিন্দাদের কথায়, মহানন্দা নদীর ধারে মনোরম পরিবেশ রয়েছে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ওই এলাকায় বসার শেড, আলোর ব্যবস্থা সহ একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দরকার রয়েছে। এক্ষেত্রে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে শহরের বুকে অবসর বিনোদনের আরও একটি স্থান গড়ে উঠবে। সম্প্রতি পুরাতন মালদহ পুরসভা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন পুলিস সুপার। সেই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে পুর কর্তৃপক্ষকে মহানন্দা নদীর তীরে সৌন্দর্যায়নের অনুরোধ জানান খোদ আলোক রাজোরিয়া। এরপর থেকেই শহরের বাসিন্দাদের সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। পুরকর্তৃপক্ষ অবশ্য এসপি’র অনুরোধ ও শহরের বাসিন্দাদের দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা আগামী দিনে মহানন্দা নদীর পাড়ের সৌন্দর্যায়নের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করার আশ্বাসও দিয়েছে।
পুলিস সুপার আলোক রাজোরিয়া বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করার সময় লক্ষ্য করি, মানুষের বসে অবসর কাটানোর জন্য ভালো কোনও জায়গা নেই। যদি এই মহানন্দা নদীর ধারে বসার শেড বানিয়ে এলাকার সৌন্দর্যায়ন করা হয়, তাহলে ভালো হবে।
শহরের বাসিন্দারা বলেন, ইংলিশবাজার শহরে বাঁধরোড রয়েছে। সেই এলাকায় প্রতিবেশী পুরসভা সৌন্দর্যায়ন করেছে। বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই এলাকায় তাই স্থানীয় বাসিন্দারা সন্ধে হতে না হতেই ভিড় করেন। এছাড়াও ওই শহরে শুভঙ্কর পার্ক তো রয়েছেই। তবে পুরাতন মালদহ শহরে বিনোদনের জায়গার অভাব রয়েছে। শহরে এমন কোনও স্থান নেই, যেখানে মানুষ স্বস্তিতে অবসর যাপন করতে পারবেন। তাই পুরাতন মালদহের মহানন্দা নদীর ধারে সৌন্দর্যানের দাবি উঠেছে। তাহলে শুধু এই শহরের মানুষই নয়, ইংলিশবাজারের মানুষও এখানে আসতে পারবেন। প্রাতঃভ্রমণেরও একটা জায়গা হবে। এজন্য জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা উচিত।
পুরাতন মালদহ শহরের বিজেপির নগর মণ্ডলের সহ সভাপতি স্নেহাংশু ভট্টাচার্য বলেন, এটি খুব পুরনো শহর। শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য এসপির এই প্রস্তাবটি খুব ভালো। তাঁর চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানাই। পুরসভার এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করি।
পুরাতন মালদহ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান চন্দনা হালদার বলেন, আমরা এসপির চিন্তা-ভাবনাকে স্বাগত জানাই। দারুণ দিক এটি। শহরের মানুষের দাবিকে সমর্থন করি। আসলে এই শহরে আগে সৌন্দর্যায়ন বলতে তেমন কিছুই ছিল না। এই পুর বোর্ডের আমলে শহর এখন সাজতে শুরু করেছে। আগামী দিনে শহরের উন্নয়নের লক্ষ্যে মহানন্দা নদীর তীরবর্তী এলাকায় সৌন্দর্যায়ন নিয়ে অবশ্যই ভাবা হবে। সেখানে এমন পরিবেশ গড়ে তোলা হবে যেরকম কাজ গোটা জেলাতে আগে কখনও হয়নি। আমরা পরবর্তীতে এই ভাবনা নিয়েই এগিয়ে যাব।