দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
শনিবার রাতে হরিরামপুরে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ওই কয়লা বোঝাই ট্রাকটি আটক করে পুলিস। যেভাবে ঢেকে পুলিসের চোখকে ধুলো দিয়ে অবৈধ কয়লা পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল, তা দেখে জেলা পুলিস প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। ঘটনার পর থেকে জেলার জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কগুলিতে পেট্রলিং আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। হরিরামপুর থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চোরাই কয়লা রানিগঞ্জ থেকে নিয়ে প্রতিবেশী জেলা উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের কোনও একটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃত চালক ও খালাসির কাছ থেকে কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিস। এ জেলার কোনও ইটভাটা চোরাই কয়লার কারবারের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা জানতে গোপনে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
যদিও জেলার ইটভাটা মালিকরা জানিয়েছে, বৈধভাবে সরকারকে কর দিয়েই তাঁরা ইটভাটায় কয়লা ব্যবহার করেন। অবৈধ কয়লা আটক হওয়ার পর এদিকে জেলা পুলিস সুপার জেলার প্রতিটি থানাকে জাতীয় সড়কে পেট্রলিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, বাইরে থেকে আমাদের জেলায় ঢুকতেই জাতীয় সড়কের ধারে আমাদের পুলিস ক্যাম্প রয়েছে। আমরা নিয়মিত হাইওয়ে পেট্রলিং চালিয়ে যাই। আমাদের জেলাকে করিডর করে প্রতিবেশী জেলা ও এজেলার ইটভাটার একাংশে চোরাই কয়লা পাচার চক্র সক্রিয় হতে পারে কি না, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। চালকদের কাছ থেকে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সমস্তটাই তদন্ত স্বাপেক্ষ বিষয়।
জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, আমাদের হরিরামপুর থানার পুলিস এক লরি অবৈধ কয়লা আটক করে মামলা রুজু করেছে। আমাদের নির্দেশ রয়েছে এ ধরনের পাচার চক্রকে জেলায় সক্রিয় হতে দেওয়া যাবে না। সব থানায় মেসেজ দেওয়া রয়েছে যে জাতীয় সড়কে পেট্রলিং চালিয়ে অসাধু ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। এমনিতেও জাতীয় সড়কে আমাদের পেট্রলিং চলতেই থাকে। এমন ঘটনা ঘটায় নজরদারি আরও কড়া করা হবে।
কুশমণ্ডির সমসিয়া ইটভাটার মালিক রঞ্জিত জয়সওয়াল বলেন, ডিসেম্বর থেকে ইটের সিজন শুরু হয়। এখন পাঁচ মাস আমরা ইট পুড়িয়ে থাকি। আমরা বৈধভাবেই কয়লার ব্যবহার করি। অসম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কর দিয়ে নিয়ে আসি। রানিগঞ্জ ও আসানসোলের কয়লা আমাদের জেলায় তেমনভাবে ব্যবহার করা হয় না। পাঁচ মাসের সিজনে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক কয়লা লাগে ভালো কয়লা উৎপাদন করার জন্য।
বংশীহারির ইটভাটার মালিক অলোক সাহা বলেন, আমাদের কয়লা অনেক লাগে। প্রতিবার আমরা কেমন উৎপাদন করব, তার উপর নির্ভর করে কয়লার পরিমাণ। আমরা বৈধভাবে কয়লা নিয়ে আসি। আমার প্রতি সিজনে ১৫ ট্রাক কয়লা লাগে। বর্ষায় ইট পোড়ানো যায় না। তাই আমরা পাঁচ মাস কাজ করি।