গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজীববাবুকে গ্রেপ্তার করা হয় সেটি ঘটেছিল ২০১৯ সালের মে মাসে। পুরাতন মালদহের ঝাঁঝরা মোড়ের কাছে প্রায় দেড় কেজি সোনা ছিনতাই হয়। একই সঙ্গে ছিনতাই হয় সোনা বহনকারী ব্যক্তির মোবাইলও। বিষয়টি নিয়ে শুরুতে পুলিসের কাছে মৌখিক অভিযোগ করা হয়। তার প্রায় ছয় মাস পরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় মালদহ থানায়। ছিনতাই হওয়া সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি বলে জানা গিয়েছে।
যে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ওই সোনা ছিনতাই করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, তাঁকেও সন্দেহের আওতার বাইরে রাখেনি পুলিস। ওই বিপুল পরিমাণ সোনার উৎস কী এবং তিনি ছিনতাইয়ের পরে পরেই পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি কেন, ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্ন তদন্ত চলাকালীন উঠে আসে। ওই ব্যবসায়ীর নাম স্বাগত মণ্ডল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি কলকাতার বরানগরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মে মাসে ঘটা ছিনতাইয়ের ঘটনার লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছিল গত নভেম্বর মাসের ২১ তারিখে। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিস।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ছিনতাই হওয়া সোনা সংগ্রহ করা হয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে। পরে সেটি কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছিল সোনা কারবারের সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তি।
এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ইলিয়াস শেখ ইংলিশবাজার থানার অধীন মিলকি ফাঁড়িতে কর্মরত। সে ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ছিনতাই করে তা পরে সেনাউল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। সেনাউল ইংলিশবাজারের কোঠাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তদন্তে নেমে ইলিয়াস ও সেনাউল দুইজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিস।
তদন্ত চলাকালীন গ্রেপ্তার করা হয় ওই সোনা কারবারীকেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনার পিছনে আমরা অন্য গন্ধ পাচ্ছি। তাই ওই সোনার কারবারিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেক উত্তরই আমরা খুঁজছি। কিছু ক্লু’ও পেয়েছি। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
তদন্তের সূত্রে পুলিস শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যায় রাজীব পালের বাড়িতে। এদিন সকাল আটটায় নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পুলিসের ওই এএসআই’কে।
পুলিস আধিকারিক ও সিভিক ভলান্টিয়ারের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জেলার পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, আইন আইনের পথেই চলবে। তদন্তের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ীই পুলিস এগোচ্ছে।
রাজীব পালের সহকর্মীরাও এদিন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা তাঁদের কল্পনাতেও ছিল না।