পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যদিও বিজেপির দাবি, আগে দলকে জেতানোই বড় বিষয়। দলের অন্দরমহল সূত্রে খবর, পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডে প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে জেলা নেতৃত্বকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। যদিও নেতৃত্বের দাবি, একেকটি ওয়ার্ডে একাধিক জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়াতেই প্রার্থী বাছাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, আমাদের দলের প্রতীক পদ্মফুলই হল সবার মুখ। পদ্মফুলকে জেতানোর পর চেয়ারম্যানের কথা আসবে। ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে চেয়ে অনেক জায়গায় রীতিমতো প্রতিযোগিতা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের বিষয়ে পরে আলোচনায় বসা হবে। রাজ্য নেতারা এখানে আসবেন। তাঁরাই সবটা স্থির করছেন। আমরা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, শহরে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছেন এমন ব্যক্তিকে খুঁজছি। কাউকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রজেক্ট করে লড়া হবে কি না সেটা দল ভাববে। নির্বাচনের ১০-১৫ দিন আগেই সব পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, কোচবিহার পুরসভায় কাকে চেয়ারম্যান করা হবে সেবিষয়ে এখনও কোনও আলোচনা দলে হয়নি। আমরা কোনও মুখকে সামনে রেখে নির্বাচন করব না কি কাউকে প্রজেক্ট না করেই নির্বাচনে লড়াই করা হবে সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আশাবাদী এবার আমাদের পালেই হাওয়া আসবে।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিককে প্রার্থী করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কোচবিহার পুরসভা এলাকায় তারা সব ক’টি ওয়ার্ডে লিড পায়। এই পরিস্থিতিতেই তারা এবার পুরসভা নির্বাচনে নামতে চলেছে। কোচবিহার পুরসভায় বিজেপির শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে এমনটাও নয়। এমন অবস্থায় বিজেপি তাদের সংগঠনকে সাজাতে এবং কাজের সুবিধার্থে শহর মণ্ডল কমিটিকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সংগঠনকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াও চালাচ্ছে। কোচবিহার পুরসভা নির্বাচন নিয়ে তারা তৎপরতাও শুরু করে দিয়েছে। দলের মধ্যে কোচবিহার পুরসভার বাসিন্দা এমন বেশকয়েক জন নেতৃত্ব রয়েছেন। বিজেপি কি তাঁদের মধ্যে থেকে কাউকে সামনে তুলে আনবে কি না তা নিয়েও দলের অন্দরে চর্চা রয়েছে। পাশাপাশি কোচবিহারের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বিশেষ পেশার কোনও ব্যক্তিকে তারা চেয়ারম্যান হিসেবে তুলে আনবে কি না সেনিয়েও জল্পনা চলছে। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন তারা নিতে পারেনি। যদিও নেতৃত্বের দাবি, সময়ের মধ্যেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।