গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি সুজিৎ লামা বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি মহকুমায় আগ্নেয়াস্ত্র কারবারিরা অনেকদিন ধরেই সক্রিয়। বিভিন্ন সময় মহকুমার এনজেপি, ভক্তিনগর, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ কিছু দুষ্কৃতী পুলিস, গোয়েন্দা ও এসএসবির জালে ধরা পড়েছে।
এসএসবি সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময় ধৃত অস্ত্র কারবারিদের জেরা করে কিছু তথ্য মিলেছে। এই অবস্থায় এদিন সকালে সূত্র মারফৎ বাইরে থেকে অস্ত্র আমদানির একটি খবর আসে। বিভিন্ন সময় ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া এবং এদিন সূত্রের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করার পর ফাঁসিদেওয়া থানার ঘোষপুকুরে জাল বিস্তার করা হয়। দুপুরে সেই এলাকায় বাইক নিয়ে দুই যবক আসে। সূত্রের দেওয়া তথ্যা অনুসারে বাইক আরোহীদের চেহারার বিবরণ হুবহু মিলে যায়। তারপর বাইক আরোহীদের আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। বাইকের ডিকি থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর ওই যুবকদের ফাঁসিদেওয়া থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ মুন্না আজিজ ও মহম্মদ মতিবুল। দু’জনেরই বাড়ি স্থানীয় চটহাট এলাকায়। ধৃতরা নিজেদেরকে কৃষক হিসেবে পরিচয় দেয়।
এই অভিযানের নেতৃত্ব দেয় এসএসবি’র ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়ন। পুলিস ও এসএসবি জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে পাঁচটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধৃতদের ব্যবহৃত মোটর বাইক ও দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ধৃতদের এদিনই এসএসবি ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয়। আজ, বুধবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত তোলা হবে।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস ও এসএসবি জানিয়েছে, ধৃতরা উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপরা থেকে ঘোষপুকুরের দিকে আসছিল। সম্ভবত চোপরার কিংবা বিহারের কোনও গ্যাংয়ের কাছ থেকে অস্ত্রগুলি সংগ্রহ করেছিল। ধৃতরা সেগুলি এখানে বিক্রি করত কিংবা অন্য কোনও দুষ্কৃতীর সঙ্গে মিলে অপরাধ সংগঠিত করত। অন্যদিকে এদিন বিএসএফ ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুর থেকে ৮০টি গোরু উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ১০ জনকে ধরে বিএসএফ পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে। ওই গোরুগুলি তিনটি লরিতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।