কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত সপ্তাহ থেকে গঙ্গারামপুর পলিটেকনিক কলেজের অস্থায়ী সাত জন শিক্ষক কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন কলেজের গেটের সামনে। অভিযোগ, গত ডিসেম্বর মাস থেকে সেইসব অস্থায়ী কর্মীদের নতুন করে নবীকরণ করেননি কারিগরি শিক্ষাদপ্তর। তাই গত দু’মাস ধরে কর্মীদের কোনও বেতন মেলেনি। অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। একাধিকবার গঙ্গারামপুর পলিটেকনিক কলেজ কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য পলিটেকনিক কলেজের অস্থায়ী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে, কারিগরি শিক্ষাদপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে গঙ্গারামপুর পলিটেকনিক কলেজের অস্থায়ী সেই কর্মীরা কলেজের সামনে আন্দোলন শুরু করেছেন। তারপর নয়দিন কেটে গেলেও এখনও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। তাই অস্থায়ী কর্মীরা পরিবারের কথা মাথায় রেখে আমরণ অনশন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গঙ্গারামপুর পলিটেকনিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মেনে নিয়েছেন, অস্থায়ী কর্মীরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে পঠনপাঠনে। দীর্ঘদিন পঠনপাঠন বন্ধ থাকলে সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করছে পড়ুয়াদের একাংশ। গঙ্গারামপুরের বিধায়ক কর্মবিরতি উঠিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কর্মীদের যোগাযোগ করার কথা জানিয়েছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি পাঠানো থেকে শুরু করে দিদিকে বলোর ফোন নম্বরে ফোন করেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় হতাশ গঙ্গারামপুর কলেজের ওই সাত জন অস্থায়ী কর্মী।
গঙ্গারামপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পৃথ্বীশ দাস বলেন, আমাদের কলেজে সাত জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তাঁদের ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনর্নবীকরণের শেষ দিন ছিল। তারপর তাঁদের আর নতুন করে নবীকরণ হয়নি। কর্মীরা আমার কাছে আবেদন পত্র দিয়েছেন। আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও আমাদের কারিগরি শিক্ষাদপ্তরে তা পাঠিয়ে দিয়েছি। ওই সাত জন অস্থায়ী কর্মী যেহেতু পড়ুয়াদের ক্লাস নিতেন, তাই একটু হলেও সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে আমরা স্থায়ী শিক্ষকদের দিয়ে পড়ুয়াদের ক্লাস করাচ্ছি। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
পশ্চিমবঙ্গ পলিটেকনিক কন্ট্রাকচুয়াল জয়েন্ট ফোরামের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি কৌশিক বিট বলেন, আমাদের নবীকরণ আটকে রয়েছে। দুই মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। অন্যান জেলার পলিটেকনিক কলেজের সঙ্গে আমাদের বেতনের কোনও বৈষম্য নেই। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শুরু করে আমাদের কারিগরি দপ্তরে একাধিকবার জানিয়েছি। দিদিকে বলোতে ফোন করেও সমস্যার সমাধান হয়নি। নিরুপায় হয়ে নয় দিন ধরে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছি। স্থানীয় বিধায়ককে জানিয়েছি। এবার আমরণ অনশনে নামতে হবে কাজ বাঁচাতে।
গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গৌতম দাস বলেন, গঙ্গারামপুর কলেজের সাতজন অস্থায়ী কর্মী মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আমি তা যথাযথ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি। শিক্ষকরা এখন দপ্তরে যোগাযোগ করুন। অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগের সময় কি অর্ডার ছিল, তা আমি জানি না। সেবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।