গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এই প্রকল্পের প্রজেক্ট ইনচার্জ মনোরঞ্জন চৌধুরী বলেন, ১৯৯১-২০১৯ সালে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক, গবেষক সহ ছাত্রছাত্রীরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এতদিন ধরে এই নমুনা প্রদর্শন করার মতো কোনও প্ল্যাটফর্ম পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ পেয়েছি। কাজও প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। মার্চ মাসে এই মর্ডান হার্বেরিউম ফেসেলিটি সেন্টারের উদ্বোধন করা হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল হার্বেরিউমও আমরা চালু করব। এতে আন্তর্জাতিক স্তরের গবেষকরা আমাদের সংগৃহীত নমুনা দেখতে পারবেন। নতুন উদ্ভিদের তাঁরা খোঁজ দিতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ জানিয়েছে, হার্বেরিউম মিউজিয়ামে প্রায় ১৪ হাজার গাছের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হবে। সেখানে সাধারণত গাছের পাতা, ফুল, কাণ্ডের অংশ একটি কাগজে সেঁটে রাখা হবে। সংশ্লিষ্ট গাছের বৈজ্ঞানিক নাম, গাছের প্রজাতি, ভূপৃষ্ঠ থেকে গাছটি কত উচ্চতায় পাওয়া যায়, গাছের স্বাভাবিক আবাস সহ কোন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সবটাই নির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি কে এই কাজটি করছেন তারও যাবতীয় তথ্য হের্বারিউম শিটে নথিভুক্ত থাকবে। যাতে এটি সকলেই দেখতে পারে সেজন্য ওয়েবসাইটে পেজ খুলে তাতে ছবি রাখা হবে। এতে বিশ্বের যেকোনও জায়গা থেকে গবেষকরা এই অঞ্চলের উদ্ভিদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন। স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীরা গাছের পরিচয় জানতে হার্বেরিউম মিউজিয়াম পরিদর্শন করতে পারবে।
উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে নতুন তিনটি উদ্ভিদের খোঁজ করছেন বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ছাত্ররা। সেগুলির মধ্যে ডেমনোরোপস টেরেইনেসিস একটি বেত জাতীয় উদ্ভিদ। যা স্থানীয় ভাষায় কর্ণ বেত নামে পরিচিত। বাগডোগরার বনাঞ্চল থেকে ওই উদ্ভিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দার্জিলিং শিবখোলার পাহাড়ি এলাকা থেকে কোলামাস সিউডোয়েক্রটাস নামে অপর একটি বেত জাতীয় উদ্ভিদের খোঁজ মিলেছে। যা স্থানীয় ভাষায় বেতগাড়া বা ওতলা বেত নামে পরিচিত। এছাড়াও জলপাইগুড়ির গোরুমারা জাতীয়উদ্যান থেকে নিমফায় অভয়ানা নামে একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ১৪ হাজার উদ্ভিদের নমুনার যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করে মিউজিয়ামে রাখা হচ্ছে। প্রায় ১২ হাজার উদ্ভিদের নমুনা রয়েছে যার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা এখন বাকি রয়েছে, দাবি কর্তৃপক্ষের। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের দাবি, চলতি বছরের মধ্যে ওই নমুনাগুলি চিহ্নিত করা হবে।
উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের মেডিসিনাল প্লান্ট ল্যাবরেটরিতে এই হার্বেরিউম মিউজিয়ামটি চালু করা হবে। একতলা ওই ভবনের একটি ঘরে মেডিসিনাল প্লান্ট রিসার্চের জন্য ব্যবহার করা হবে। এবং বাকি দু’টি ঘরে হার্বেরিউম শিটগুলি লকার সহ আলমারিতে রাখা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজেস্ব ফান্ড থেকে ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। যারমধ্যে শুধুমাত্র লকার আলমারির জন্য ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাকি টাকা রুম সংস্কারে ব্যয় হচ্ছে।