কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গীরেন্দ্রনাথ দেব বলেন, ২১ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে জল্পেশ মেলা। এই মেলা সরকারি নিয়মানুসারে ১০ দিন ধরে চলবে। এবছর আমাদের মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। আমরা মন্দিরের চারদিকে এবং সংলগ্ন এলাকায় নজরদারির জন্য ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছি। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা মেলায় আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছি। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী আসুন। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করার স্থানে পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য রেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। ৫০ জন ভলান্টিয়ার থাকবেন। মন্দির কমিটির অফিস ঘর থেকে সিসিটিভিতে সবটা মনিটারিং করা হবে।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, জল্পেশ মেলা বহু পুরনো। এটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। মেলামাঠ থেকে মন্দিরে যাওয়ার বাঁশের সাঁকো আমরা করে দিচ্ছি। এবছর আমরা মন্দিরে প্লাস্টিকের ঘট ব্যবহারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। ব্লকে ৪৫০টি কুমোর পরিবার রয়েছে। তাঁরা আমাদের চিঠি দিয়েছিল। তাদের কথা ভেবেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, মেলার ক’দিন বাইরের জেলা থেকে প্রচুর ফোর্স এনে রাখা হবে। সেসঙ্গে বম্ব স্কোয়াড, স্নিপার ডগও থাকবে। মেটাল ডিটেক্টরের মধ্যে দিয়েই পুর্ণ্যর্থীদের ঢুকতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বিভিন্ন জায়গায় বসানো হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের মেলাগুলির মধ্যে ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের জল্পেশ মেলা পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী। আগামী ২১ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে জল্পেশ মেলা। এই মেলায় শুধু জলপাইগুড়ি জেলাবাসীই নয় প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান সহ অসম, সিকিম রাজ্য থেকে দলে দলে পুণ্যার্থী আসেন। মেলায় প্রবেশের মূল গেট থেকে শুরু করে মেলামাঠে দোকানিরা বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে দোকান সাজান। ইতিমধ্যেই নাগরদোলা, চড়কি, ট্রেন চলে এসেছে।