পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরাসি প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে দোলনা সেতুটি। মাস দেড়েকের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হবে। সমাজপাড়ার রবীন্দ্র ভবনের কাছে সেতুর আপ্রোচ রোডের জন্য আজ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কংগ্রেসের অম্লান মুন্সি বলেন, করলা নদীর উপর শহরের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। দিনবাজারগামী রায়কতপাড়ার সেতুর উপর স্বাভাবিকভাবেই তাই চাপ বাড়ছে। দীর্ঘদিনের পুরনো এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজন। অর্ধসমাপ্ত সেতু দু’টির কাজ দ্রুত শেষ করা দরকার।
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়্যারমান ইন কাউন্সিল (পূর্ত) সন্দীপ মাহাত বলেন, সেতু দু’টি পুরসভা তৈরি করছে না। রায়কতপাড়া থেকে দিনবাজার যাওয়া সেতুটি বিষয়ে এসজেডিএর সঙ্গে আলোচনা করেছি।
এসজেডিএ’র চেয়্যারমান বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, রবীন্দ্র ভবনের কাছে সেতুটির আপ্রোচ রোডের কাজ আটকে আছে। জমিজটের জন্য ওই কাজ আমরা করতে পারছি না। তবে জেনেছি অনেকেই এখন জমি দিতে রাজি হয়েছেন। জমির দর ঠিক করার বিষয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করব।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ফরাসি প্রযুক্তিতে দোলনা সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে। সেতুর কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। মাস দেড়েকের মধ্যে আশা করি, সেতুটির কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
জলপাইগুড়ি শহরে মাঝ বরাবর গিয়েছে করলা নদী। নদীর দু’ধারে সংযোগ স্থাপনের জন্য একাধিক সেতু তৈরি হয়েছে। তবে এখনও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু চলাচলের যোগ্য হয়ে উঠেনি। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দোলনা সেতুর কাজ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। সেতুটি না থাকায় ঘুরপথে ওই এলাকার লোকেদের হাসপাতাল, স্কুল, অফিসের যেতে হচ্ছে। সেনপাড়ার বাসিন্দারা দোলনা সেতু না থাকার কারণে বিপাকে পড়েছেন। সমাজপাড়া ও হাসপাতাল পাড়ার সংযোগকারী আপ্রোচ রোড তৈরি না হওয়ার কারণেও সমস্যা হয়েছে। জমি জটে কাটাতে চাইছে প্রশাসন। এই দু’টি সেতু না থাকায় রায়কতপাড়া ও দিনবাজার সংযোগকারী সেতুর উপর স্বাভাবিকভাবেই চাপ পড়েছে। দীর্ঘদিনের পুরনো এই সেতুটিও বেহাল হয়ে পড়েছে। অফিস টাইমে সেতুর দু’পাশে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। ওই সময়ে সেতু পারাপার হতে গিয়ে নিত্যযাত্রীদের নাকাল হতে হয়।